Skip to main content

Garments Sample

স্যাম্পল অর্থ নমুনা।এ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিতে স্যাম্পল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত কোন ক্রেতা (Buyer) অর্ডার কনফার্ম করার পূর্বে, ক্রেতার রিক্রুটমেন্ট অনুযায়ী স্যাম্পল তৈরি করে দিতে হয় নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসারে।
ক্রেতার (Buyer)এর আর্টসিটের সাহায্যে বাল্ক প্রোডাকশন করার পূর্বে পোশাকের ডিজাইন ও সেলাই(Sewing) এর সঠিকতা যাচাইয়ের জিন্য স্যাম্পল তৈরি করা হয়।স্যাম্পল যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে, সে জন্য এ্যাভেইলএবেল ফেব্রিক দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে প্রাথমিক অবস্থায়।পোশাক শিল্পে নমুনা ব্যতিত কোন পোশাক উৎপাদিত হয়না।যখন কোন পণ্য উৎপাদন করা হয় তখন উহা একটা নমুনাকে অনুসরন করে।
 
 
স্যাম্পলের শ্রেণিবিভাগ(Types Of Sample)
পোশাক শিল্পে স্যাম্পল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
১। প্রোটো স্যাম্পল (Proto Sample)
২।কাউন্টার স্যাম্পল (Counter Sample)
৩। সেলসম্যান স্যাম্পল (Salesman Sample)
৪।ফ্যাশন সো স্যাম্পল (Fashion Show Sample)
৫।প্রোডাকশন স্যাম্পল (Production Sample)
৬।শিপমেন্ট স্যাম্পল (Shipment Sample)
১।প্রোটো স্যাম্পল (Proto Sample)
একজন বায়ার কোন জিনিস ক্রয় করার পূর্বে প্রাথমিক অবস্থায় যে স্যাম্পল তৈরি করা হয় তাকে প্রোটো স্যাম্পল বলে।পোশাক শিল্পে Proto Sample এর ক্ষেত্রে বায়ার শুধু জানতে চায় Manufacturer পোশাকটি ঠিকমত তৈরি করতে পারছে কিনা।তাই সেক্ষেত্রে স্যাম্পলটি তৈরি করার জন্য যে কোন কালারের ফেব্রিক ব্যাবহার করা যাবে।তবে পোশাকের স্যাম্পলটির সঠিক Measurement ও Sewing এর গুনগতমান ঠিক রেখে তৈরি করতে হয়,যাতে ক্রেতা(Buyer)  দেখে পছন্দ করে।
২। কাউন্টার স্যাম্পল (Counter Sample)
এই ক্ষেত্রে Manufacturer কে অবশ্যই সঠিক কাপড় ও বায়ারের Specifications অনুযায়ী আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ব্যবহার করে পোশাক তৈরি করতে হয়।যাতে বায়ার দেখে বুঝতে পারে,তিনি যে পোশাকটি তৈরি করতে চেয়েছিলেন, তার সঠিক রুপায়ন হয়েছে।


৩। সেলসম্যান স্যাম্পল (Salesman Sample)
এই স্যাম্পলগুলো কাউন্টার স্যাম্পল এর মত তৈরি করা হয়ে থাকে।ক্রেতা যে সব স্টোরে বিক্রি করে থাকেন সে সব স্টোরে এক বা দুই পিছ করে স্যাম্পল হিসেবে দিয়ে থাকেন।যাতে স্টোর মালিকরা বুঝতে পারেন, তাদের স্টোরে বিক্রির জন্য কি ধরনের পোশাক আসছে।

৪।ফ্যাশন সো স্যাম্পল (Fashion Show Sampl)
এই স্যাম্পলগুলি সাধারণত কাউন্টার স্যাম্পলের মত করে তৈরি করা হয়।বায়ার এউগুলি নিয়ে Advertise এর উদ্দেশ্যে ফ্যাশন শো করে থাকেন।ফ্যাশন শো দেখে customers দের পছন্দ হলে, তারা পোশাকগুলি কেনার জন্য স্টলে যোগাযোগ করে থাকেন।
৫।প্রোডাকশন স্যাম্পল(Production Sample)
প্রোডাকশন চলাকালীন অবস্থায় ক্রেতা কিছু উৎপাদিত পোশাক সংগ্রহ করে থাকেন,যা থেকে বায়ার বুঝতে চেষ্টা করেন তার অর্ডার দেওয়া মালামালের গুনগতমান কেমন হচ্ছে বা ঠিক আছে কিনা।
৬। শিপমেন্ট স্যাম্পল(Shipment Sample)
প্রোডাকশন শেষ হওয়ার পর উৎপাদিত পোশাক প্যাকিং করে শিপমেন্ট করা হয়।
শিপমেন্ট করার সময় স্যাম্পল হিসেবে ২ থেকে ৫ টা পোশাক বায়ারকে পাঠানো হয়।যাতে বায়ার বুঝতে পারে কি ধরনের পোশাক তার জন্য শিপে আসছে।

Comments

Popular Posts

টেক্সটাইল ডাইং কেমিক্যাল গুলির নাম এবং ব্যবহার

ডাইং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন : ১. সোডা  :  কালার ফিক্সং  করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জন্য  ব্যবহার করা  হয়। ২. পার-অক্সাইড : ফেব্রিকের মধ্যে থাকা ন্যাচারাল গ্রে কালার রিমুভ করতে ব্যবহার করা হয়। ৩. স্টেবিলাইজার : পার-অক্সাডের রিয়েকশন স্টেবল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যাবহার না করললে পার-অক্সাইড খুব দ্রুত ভেঙে পার-হাইড্রোক্সিল আয়ন গুলি শেষ করে ফেলবে, যা ব্লিচিং এর জন্য দায়ী। ৪. ডিটারজেন্ট :  ওয়েটিং অথবা ক্লিনিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ৫. এন্টিক্রিজিং এজেন্ট:  নিটিং এর পর ও ওয়েট প্রসেসিং এর সময়  ফেব্রিকে ভাজ অথবা ক্রিজ পরে ফলে সেড আন-ইভেন আসতে পারে। ডাইং এর সময় তাই তা দূর করতে এক ধরনের ক্রিজ রিমুভার ব্যবহার করা হয় যেন ক্রিজ না পরে। এটি লুব্রিকেশন টাইপ এর কেমিক্যাল। ৬. সিকুস্টারিং এজেন্ট: পানির মধ্যে থাকা মেটাল আয়ন, হার্ডনেস রিমুভ করতে  ও পানিকে সফট করতে ব্যবহার করা হয়। ৭. ওয়েটিং এজেন্ট :  সারফেস টেনশন দূর করে ফেব্রিকের ভিজানোর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ওয়েটিং প্রপার

উপন্যাসের গঠন কৌশল

বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক E.M. Forster- এর মতে, কমপক্ষে ৫০ হাজার শব্দ দিয়ে উপন্যাস রচিত হওয়া উচিত। উপন্যাস সাহিত্যের এমন একটি মাধ্যম যেখানে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার অবকাশ থাকে। এখানে লেখক প্রাণখুলে তাঁর মতামত লিপিবদ্ধ করতে পারেন বা একেকটি চরিত্রকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন সকল ধরনের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। উপন্যাসকে এক সুবিশাল ক্যানভাস হিসেবে ধরা যায়, লেখক তাঁর পরিকল্পনা মাফিক একেকটি অধ্যায়কে জায়গা করে দেন সেখানে। স্থান-কালের যথার্থ উল্লেখ, বাস্তবতার প্রতি তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখা, মানুষের হৃদয়ের গভীর তলদেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা—ইত্যাদি দরকার একটি সার্থক উপন্যাসের জন্য। উপন্যাস বিশ্লেষকগণ একটি সার্থক উপন্যাসের গঠন কৌশল নিয়ে ছয়টি রীতির কথা বলেছেন। প্লট বা আখ্যান সম্পাদনাঃ উপন্যাসের ভিত্তি একটি দীর্ঘ কাহিনি। যেখানে মানব-মানবীর তথা ব্যক্তির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, ঘৃণা-ভালোবাসা ইত্যাদি ঘটনা প্রাধান্য লাভ করে। উপন্যাসের প্লট বা আখ্যান হয় সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত। প্লটের মধ্যে ঘটনা ও চরিত্রের ক্রিয়াকাণ্ডকে এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয় যাতে তা বাস্তব জীবনকে প্র

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ সমূহ

জায়নামাযে দাঁড়ানোর দোয়া اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ حَنِيْفًا وَّمَا اٰنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ- উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজ্হিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ছানা سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلَا اِلٰهَ غَيْرُكَ- উচ্চারণ- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বি-হামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। রুকূর তাসবীহ سُبْحَانَ رَبِّىَ الْعَظِيْمِ উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম। অর্থাৎ- আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করতছি। তাসমীহ سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَهْ উচ্চারণ- সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ। অর্থাৎ- যে তাহার (আল্লাহর) প্রশংসা করে, আল্লাহ তাহা শুনেন। তাহমীদ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ উচ্চারণ- রাব্বানা লাকাল হামদ। অর্থাৎ- হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি প্রশংসিত। সিজদার তাসবীহ سُبْحَانَ رَبِّىَ الْاَعْلٰى উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা। অর্থাৎ- আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করতেছি। আত্তাহিয়্যাতু اَلتَّحِيّ