Skip to main content

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ সমূহ

জায়নামাযে দাঁড়ানোর দোয়া

اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ حَنِيْفًا وَّمَا اٰنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ-

উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজ্হিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।

ছানা

سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلَا اِلٰهَ غَيْرُكَ-

উচ্চারণ- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বি-হামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।

রুকূর তাসবীহ

سُبْحَانَ رَبِّىَ الْعَظِيْمِ

উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম।
অর্থাৎ- আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করতছি।

তাসমীহ

سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَهْ

উচ্চারণ- সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ।
অর্থাৎ- যে তাহার (আল্লাহর) প্রশংসা করে, আল্লাহ তাহা শুনেন।

তাহমীদ

رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ

উচ্চারণ- রাব্বানা লাকাল হামদ।
অর্থাৎ- হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি প্রশংসিত।

সিজদার তাসবীহ

سُبْحَانَ رَبِّىَ الْاَعْلٰى

উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা।
অর্থাৎ- আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করতেছি।

আত্তাহিয়্যাতু

اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلٰوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ -اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِىُّ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهٗ- اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللّٰهِ الصَّالِحِيْنَ- اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ  وَرَسُوْلُهٗ-

উচ্চারণ- আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু ওয়াত্তাইয়্যিবাতু আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আসসালামু আলাইনা ওয়া আ’লা ইবাদিল্লাহিস সালিহিন। আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।
অর্থাৎ- প্রাণের সমস্ত ইবাদত, শরীরের যাবতীয় ইবাদত এবং অর্থ সম্পদের সমস্ত ইবাদত খালেছ ভাবে আল্লাহর জন্য। হে নবী আপনার প্রতি অনন্ত শান্তি আল্লাহর রহমত ও বরকত নাযিল হউক, আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি অশেষ শান্তি নাযিল হউক। আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহার বান্দা এবং রাসুল।

দুরুদ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ-
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ-

উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আলী ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অর্থাৎ- হে আল্লাহ তুমি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাহার বংশধরদের প্রতি রহমত নাযিল কর। যেমন রহমত নাযিল করিয়াছ হযরত ইব্রাহীম এবং তাহার বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসার যোগ্য ও মহান।
হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাহার বংশধরদের প্রতি অনুগ্রহ কর যেমন তুমি অনুগ্রহ করিয়াছ হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম এবং তাহার বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি সর্বপ্রকার প্রশংসার যোগ্য এবং মহিমাময়।

দোয়া মাসূরা

اَللّٰهُمَّ اِنِّى ظَلَمْتُ نَفْسِىْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اَنْتَ فَاغْفِرْلِىْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْ حَمْنِىْ اِنَّكَ اَنْتَ الْغَفُوْرٌ الرَّحِيْمِ-

উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাছীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগফিরুয্ যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম্ মিন ইনদিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম।
অর্থাৎ- হে আল্লাহ আমি আমার আত্মার উপর বড়ই যুলুম করেছি। তুমি ছাড়া আর কেহই পাপসমূহ মাফ করে না। অতএব, তুমি তোমার নিজ হতে আমাকে ক্ষমা কর এবং আমার উপর দয়া কর নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

সালাম

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ

উচ্চারণ- আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
অর্থাৎ-আপনাদের প্রতি শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হউক।

মোনাজাত

رَبَّنَا اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ وَصَلَّى اللّٰهُ تَعَلٰى عَلٰى خَيْرِ خَلْقِهٖ مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِهٖ وَ اَصْحَابِهٖ اَجْمَعِيْنَ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرحَمَ الرَّحِمِيْنَ-

উচ্চারণ-রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আযাবান্নার ওয়া সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলা খাইরি খালক্বিহী মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলীহি ওয়া আসহাবীহি আজমাঈন। বিরাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহীম।
অর্থাৎ- হে আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে দুনিয়ায় মঙ্গল দান কর এবং আখেরাতের মঙ্গল দান কর। দোযখের আগুন হতে মুক্তি দাও। হে আল্লাহ সৃষ্টির সেরা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
উপর এবং তাহার পরিবারবর্গ ও সাহাবীদের প্রতি রহমত নাযিল কর।

Comments

  1. ধন্যবাদ। আল্লাহ যেন আপনাদেরকে এর উত্তম প্রতিদান দান করেন। আমিন।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular Posts

টেক্সটাইল ডাইং কেমিক্যাল গুলির নাম এবং ব্যবহার

ডাইং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন : ১. সোডা  :  কালার ফিক্সং  করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জন্য  ব্যবহার করা  হয়। ২. পার-অক্সাইড : ফেব্রিকের মধ্যে থাকা ন্যাচারাল গ্রে কালার রিমুভ করতে ব্যবহার করা হয়। ৩. স্টেবিলাইজার : পার-অক্সাডের রিয়েকশন স্টেবল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যাবহার না করললে পার-অক্সাইড খুব দ্রুত ভেঙে পার-হাইড্রোক্সিল আয়ন গুলি শেষ করে ফেলবে, যা ব্লিচিং এর জন্য দায়ী। ৪. ডিটারজেন্ট :  ওয়েটিং অথবা ক্লিনিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ৫. এন্টিক্রিজিং এজেন্ট:  নিটিং এর পর ও ওয়েট প্রসেসিং এর সময়  ফেব্রিকে ভাজ অথবা ক্রিজ পরে ফলে সেড আন-ইভেন আসতে পারে। ডাইং এর সময় তাই তা দূর করতে এক ধরনের ক্রিজ রিমুভার ব্যবহার করা হয় যেন ক্রিজ না পরে। এটি লুব্রিকেশন টাইপ এর কেমিক্যাল। ৬. সিকুস্টারিং এজেন্ট: পানির মধ্যে থাকা মেটাল আয়ন, হার্ডনেস রিমুভ করতে  ও পানিকে সফট করতে ব্যবহার করা হয়। ৭. ওয়েটিং এজেন্ট :  সারফেস টেনশন দূর করে ফেব্রিকের ভিজানোর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ওয়েটিং প্রপার

উপন্যাসের গঠন কৌশল

বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক E.M. Forster- এর মতে, কমপক্ষে ৫০ হাজার শব্দ দিয়ে উপন্যাস রচিত হওয়া উচিত। উপন্যাস সাহিত্যের এমন একটি মাধ্যম যেখানে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার অবকাশ থাকে। এখানে লেখক প্রাণখুলে তাঁর মতামত লিপিবদ্ধ করতে পারেন বা একেকটি চরিত্রকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন সকল ধরনের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। উপন্যাসকে এক সুবিশাল ক্যানভাস হিসেবে ধরা যায়, লেখক তাঁর পরিকল্পনা মাফিক একেকটি অধ্যায়কে জায়গা করে দেন সেখানে। স্থান-কালের যথার্থ উল্লেখ, বাস্তবতার প্রতি তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখা, মানুষের হৃদয়ের গভীর তলদেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা—ইত্যাদি দরকার একটি সার্থক উপন্যাসের জন্য। উপন্যাস বিশ্লেষকগণ একটি সার্থক উপন্যাসের গঠন কৌশল নিয়ে ছয়টি রীতির কথা বলেছেন। প্লট বা আখ্যান সম্পাদনাঃ উপন্যাসের ভিত্তি একটি দীর্ঘ কাহিনি। যেখানে মানব-মানবীর তথা ব্যক্তির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, ঘৃণা-ভালোবাসা ইত্যাদি ঘটনা প্রাধান্য লাভ করে। উপন্যাসের প্লট বা আখ্যান হয় সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত। প্লটের মধ্যে ঘটনা ও চরিত্রের ক্রিয়াকাণ্ডকে এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয় যাতে তা বাস্তব জীবনকে প্র