Skip to main content

হুমায়ুন আহমেদ - এর উক্তি সমূহ

১. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে ভালবাসা।
২. ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটোই মানুষের চোখে লিখা থাকে।
৩. একজন সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে দেখা ও তাকে অসুন্দর হিসেবে আবিষ্কার করার মধ্যবর্তী সুন্দর সময়ের নাম ভালোবাসা। ---রজনী
৪. ভালোবাসা এমন একটা জিনিস- যখন একটা ছেলে বুঝে, তখন মেয়েটা বুঝে না। আর যখন মেয়ে বুঝে, তখন ছেলে বুঝে না। আর যখন ছেলে মেয়ে দুইজনই বুঝে, তখন দুনিযয়া বুঝে না।
৫. ভালবাসাবাসির জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন হয় না, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।
৬. চোখে যা দেখা যায় তা দ্রুত রহস্য হারায়। চোখে যা দেখা যায় না, যেমন 'মন', অনেকদিন রহস্য ধরে রাখে। ---দেয়াল
৭. মন ভালো করার জন্যে খুব বেশী কিছু দরকার হয় না, প্রিয় মানুষ গুলোর একটা হাসিই যথেষ্ট।
৮. প্রতিটা মেয়েদের জীবনেই একজন ছেলে থাকে, যাকে সে মন থেকে কখনোই ভুলতে পারে না। আর প্রতিটা ছেলের জীবনেই একজন মেয়ে থাকে, যাকে সে মন থেকে চায় কিন্তু কখনোই পায় না।
৯. প্রত্যেক ভালবাসায় দুইজন সুখী হলেও তৃতীয় একজন অবশ্যই কষ্ট পাবেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম।
১০. অতি কাছের কোন বস্তুকে ক্যামেরা ফোকাস করতে পারে না। মানুষও ক্যামেরার মত অতি কাছের জন ফোকাসের বাইরে থাকে।
১১. রাগ হচ্ছে মানব চরিত্রের অন্ধকার বিষয়ের একটি, যে অন্ধকার বোঝেনা, সে আলোও ধরতে পারে না। ---এবং হিমু
১২. বেটা ছেলের জীবনে একবার মাত্র কাঁদার পারমিশন আছে। Only once. সেই একবারটা একেক জনার জন্যে একেক রকম। ---ইস্টিশন
১৩. পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পতাকা মেয়েদের খোলা চুল। এরা বাতাসে উড়লে মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পতাকাটি উড়ছে।
১৪. কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে, কষ্ট মানুষকে শক্তিশালীও করে।
১৫. পৃথিবীতে সব নারীদের ডাক উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু মায়ের ডাক উপেক্ষা করার মতো ক্ষমতা প্রকৃতি আমাদের দেয়নি।
১৬. রাগী মেয়েরা সংসারী হয়, এরা হৃদয় থেকে ভালোবাসতে জানে।
১৭. পা না ভিজিয়ে সাগর পারি দেওয়া যায়। কিন্তু চোখ না ভিজিয়ে জীবন পাড়ি দেওয়া যায় না। ---রুমালী
১৮. পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান। বিজ্ঞানের ভাষায়- Conservation of আনন্দ। একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে। ---আজ হিমুর বিয়ে
১৯. দু ধরনের মানুষ সবসময় সত্যি কথা বলে, সাধুসন্ত মানুষ আর যারা ভয়ঙ্কর ক্রিমিনাল। মাঝখানের মানুষ গুলো সত্য মিথ্যা মিশিয়ে বলে।
২০. একজন প্রেমিকের কাছে চন্দ্র হলো তার প্রেমিকার মুখ। আর জোছনা হলো প্রেমিকার দ্বীর্ঘশ্বাস।
২১. লেখালেখি এক নিঃসঙ্গ যাত্রা। ---বলপয়েন্ট
২২. মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে। পুরুষের খারাপ দৃষ্টিও বুঝে।
২৩. অসহায়কে অবজ্ঞা করা উচিত নয়, কারণ মানুষ মাত্রই জীবনের কোন না কোন সময় অসহায়তার শিকার হবে। ---প্রিয়তমেষু
২৪. সব ক্ষমতা নিয়ে একজন দূরে বসে আছেন। ভুল বললাম- দূরে না, কাছেই বসে আছেন। খুব বেশি কাছে বলেই তাকে দেখা যায় না। ---একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁঝিপোকা
২৫. শরীরের সঙ্গে শরীরের পরিচয়ের আগে যে প্রেম সেটার মত ভাল আর কিছু নেই। ---কোথাও কেউ নেই
২৬. মানুষ স্বাধীন না, সে তার মস্তিষ্কের অধীনে বাস করে।        ---মৃন্ময়ী
২৭. ঈশ্বর মানুষকে প্রচুর ক্ষমতা দিয়েছেন কিন্তু মানুষের মন বোঝার ক্ষমতা দেননি। ---আয়নাঘর
২৮. পরিস্থিতি ই মানুষকে তৈরী করে। পরিস্থিতি যখন বদলে যায়, মানুষ ও তখন পাল্টে যায়। মানুষ আসলে জলের মতো। পাত্রের সাথে সাথে আকার বদলায়।
২৯. পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ রাগ প্রকাশ করতে পারে, খুশি প্রকাশ করতেপারে না। আরেক ধরনের মানুষ খুশি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু রাগ প্রকাশ করতে পারে না।
৩০. সাধারন হওয়াটা একটা অসাধারন বিষয়, সবাই সাধারন হতে পারে না।
৩১. "I love you" যত সহজে বলা যায়। "আমি তোমাকে ভালোবাসি" অত সহজে বলা যায় না। মুখের কাছে এসে আটকে যায়। ভালোবাসাবাসির কথা বলার জন্যে অন্য একধরনের ভাষা থাকলে ভাল হত। সাইন ল্যাংগুয়েজের মত কোন ল্যাংগুয়েজ। যে ল্যাংগুয়েজে শুধু চোখ ব্যবহার করা হবে।
৩২. সারাদিন কষ্টগুলি বুকের মাঝে চেপে রাখলেও রাতে যেন কোন ভাবেই ঠেকানো যায় না। বুক ফেটে কষ্টগুলো বের না হলেও,চোখ ফেটে বের হয়ে আসে অশ্রু।
৩৩. তুমি যখন ভাল করতে থাকবে, মানুষ তোমাকে হিংসা করতে শুরু করবে। না চাইলেও তোমার শত্রু জন্মাবে।
৩৪. কেউ ভালোবাসা নিয়ে খেলা করলে, তাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ।
৩৫. পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর দৃশ্য হল লোভে চকচক করা চোখ। আর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য গভীর মমতায় আদ্র প্রেমিকার চোখ। ---পেন্সিলে আঁকা পরী
৩৬. মনে রেখো, আজকের দিনটিই তোমার সেই ভবিষ্যৎ যা নিয়ে তুমি গতকাল চিন্তিত ছিলে।
৩৭. মেয়েদের গায়ের গন্ধ বয়সভেদে একেক রকম, কুমারী মেয়েদের গন্ধ পান পাতার মত।
৩৮. অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গন্ডারের মত, শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে এই গন্ডারকে সামলানো যায় না।
৩৯. মৃত্যুই হচ্ছে মানুষের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তোমার জন্ম হওয়ার পর থেকেই সে তোমাকে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে।
৪০. মাঝে মাঝে সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখেও মানুষ ভয় পায়।        ---আকাশ জোড়া মেঘ
৪১. খেয়ালী মানুষের খেয়াল হল পানির বুদবুদের মত, দেখতে সুন্দর কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। ---বৃষ্টি ও মেঘমালা
৪২. কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচবে না এটা খুব বাজে রকমের মিথ্যা কথা। সবাই বাঁচে, খুব ভালোভাবেই বাঁচে, মরে যায় শুধু স্বপ্নগুলো।
৪৩. ভালোবাসার মাঝে হালকা ভয় থাকলে সেই ভালোবাসা মধূর হয়। কেননা, হারানোর ভয়ে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়।
৪৪. ভালবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে, ভালবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয়, তাহলে হয়তো বা ভালবাসাটা থাকে শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালবাসা এই দু’য়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়তো বেশি প্রিয়।
৪৫. কান্নায় লজ্জার কিছু নেই। যে ভালবাসতে জানে, সে-ই কাঁদতে পারে।
৪৬. পৃথিবীর সবচেয়ে অপ্রীতিকর দৃশ্য হলো পুরুষ মানুষের চোখের পানি। ---হিমু রিমান্ডে
৪৭. কাউকে প্রচন্ড ভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়, এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।
৪৮. পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর দৃশ্য হল, লোভে চকচক করা চোখ। আর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য গভীর মমতায় আদ্র প্রেমিকার চোখ।
৪৯. কারো উপর মায়া পরে গেলে সে মায়া শুধু বাড়তেই থাকে, কমেনা।
৫০. ভালোবাসা একটা পাখি, যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায়।
৫১. মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত, তারা তাদের মায়ায় সবাইকে আচ্ছ্বন্ন করে রাখে।
৫২. ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না, যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি।
৫৩. হাসি সব সময় সুখের অনুভুতি বুঝায় না। মাঝে মাঝে এটাও বোঝায়, আপনি কতটা বেদনা লুকাতে পারেন ।
৫৪. প্রেমের ক্ষমতা যে কি প্রচন্ড হতে পারে, প্রেমে না পড়লে তা বুঝা যায় না। ---সঙ্গিনী
৫৫. পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ কে? - যার কাছে ঘুম আনন্দময় সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।
৫৬. অতি সাধারন যে মানুষ, তার চরিত্রেও অবাক হয়ে লক্ষ করার মতো কিছু ব্যাপার থাকে। ---আমি এবং আমরা
৫৭. অতি কাছের মানুষের অবহেলা মানুষ সহ্য করতে পারে না, মানুষ বড় অভিমানী প্রাণী।
৫৮. ভুল বোঝা সহজ। কিন্তু কঠিন হলো, সেই বোঝা ভুলটি থেকে বেরিয়ে আসা।
৫৯. খারাপ সংবাদের নিয়ম হল, একটা খারাপ সংবাদের পর পর দ্বিতীয় খারাপ সংবাদ টা আসে। খারাপ সংবাদ কখনও একা আসে না।
৬০. ভালোবাসার জন্মের সাথে যেমন দুটি মানুষ জড়িয়ে যায়। তেমনি নিজেদের অজান্তেই কিছু আবেগ, কিছু মায়া, কিছু হিংসাও জন্মে।
৬১. আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাবো, এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে। যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই, তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।
৬২. জীবনে যদি কাওকে সত্যিই মন থেকে ভালবাসো, তাহলে তাকে হারিয়ে যেতে দিওনা। কারণ, চোখের জল হয়তো মুছতে পারবে, কিন্তু হৃদয়ের কান্নার জল কোনো ভাবেই মুছতে পারবেনা।
৬৩. বিলাই আর পুরুষ মানুষ এই দুই জাতের কোন বিশ্বাস নাই। দুইটাই ছোকছুকানি জাত। ---অপেক্ষা
৬৪. না পাওয়া ভালোবাসা গুলো সব সময় সত্যি মনে হয়, পাবার পর কত জন মূল্য দিতে পারে?
৬৫. সব গ্রেটম্যানরাই কোনো না কোনো সময়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম রবি ঠাকুর। ---জনম জনম
৬৬. ভালোবাসা যদি তরল পানির মত কোন বস্তু হত, তাহলে সেই ভালোবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমন কি হিমালয় পর্বতও। ---এপিটাফ
৬৭. মানবজাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয়ে নিজেকে নিরাপদ মনে করে।
৬৮. জীবনে কুসিৎত সব ব্যাপারগুলি সহজভাবে ঘটে যায়। অপরূপ রূপবতী একটা মেয়ে হাসতে হাসতে কঠিন কঠিন কথা বলে। ---আকাশ জোড়া মেঘ
৬৯. আমরা মানুষের জটিলতা দেখে অভ্যস্ত, সারল্যকে আমরা ভয় করি। কারো ভেতরে ঐ ব্যাপারটি দেখলে থমকে যাই এবং আমাদের মনের একটি অংশ বলতে থাকে নিশ্চয়ই কোন একটা রহস্য আছে। ---নবনী
৭০. একজন কাছের মানুষ আরেকজন কাছের মানুষকে তখনি ভয় করে যখন সে তাকে বুঝতে পারে না। ---আশাবরী
৭১. প্রকৃতি মাঝে মাঝে মানুষকে এমন বিপদে ফেলে। চোখে পানি আসার সিস্টেম না থাকলে জীবন যাপন হয়তো সহজ হতো। ---হিমুর মধ্যদুপুর
৭২. দু’ধরনের মানুষের মধ্যে পাগলামি প্রকাশিত হয়। প্রতিভাবান মানুষ এবং কর্মশূন্য মানুষ। ---মিসির আলির চশমা
৭৩. আধুনিক সমাজে বাস করার এই অসুবিধে। মনের কথা খোলাখুলি কখনো বলা যায় না। একটি মেয়েকে ভালো লাগলেও সরাসরি তাকে সেই কথা বলা যাবে না। অনেক ভণিতা করতে হবে। ---আকাশ জোড়া মেঘ
৭৪. ক্ষুধা সব মানুষকে এক কাতারে ফেলে।                       ---মেঘের উপর বাড়ি
৭৫. যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায়, সেই প্রকৃত রূপবতী।
৭৬. সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না, মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে।
৭৭. স্মৃতির উপর বিশ্বাস করতে নেই। স্মৃতি হচ্ছে প্রতারক, নানানভাবে সে মানুষের সাথে প্রতারণা করে।
৭৮. এই পৃথিবীতে সব ধরনের অপরাধের বিচার হয়। শুধুমাত্র মন ভাঙার অপরাধের বিচার হয়না, কারন এতো বড় অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা মানুষের নেই।
৭৯. চোখের জলের মতো গভীর কিছু নাই। একজনের দুঃখ অন্যজনকে স্পর্শ করে না, কিন্তু একজনের চোখের জল অন্যকে স্পর্শ করে ।
৮০. প্রতিটি মানুষের জীবনে কষ্ট আছে। শুধু তা প্রকাশ করার পদ্ধতি ভিন্ন; নির্বোধরা প্রকাশ করে চোখেরপানি দিয়ে, আর বুদ্ধিমানরা প্রকাশ করে মৃদু হাসি দিয়ে।
৮১.  যখন কেউ হাসে, তার সাথে পুরো পৃথিবী হাসে। কিন্তু যখন কেউ কাঁদে, সে শুধু একা কাঁদে। কাঁদতে হয় একা একা, এটাই জগতের নিয়ম।
৮২. মানুষের সব কিছুই ছোট ছোট। জীবন ছোট, ভালবাসাবাসির দিন ছোট। শুধু দুঃখের কাল দীর্ঘ ।
৮৩. যখন একা থাকার অভ্যাস হয়ে যায়, ঠিক তখনি স্রষ্টা কিছু মানুষের সন্ধান দেন। যখন তাদেরকে নিয়ে ভাল থাকার অভ্যাস হয়ে যায়, ঠিক তখনি আবার একা হয়ে যেতে হয়।
৮৪. প্রতিটি মেয়েই নিষ্ঠুর হবার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
৮৫. ভালোবাসায় যেমন স্বর্গের সুখের মতো কিছু মুহূর্ত থাকে, ঠিক তেমনি নরকের কষ্টের মতোও কিছু দুঃখ থাকবে। এটাই স্বাভাবিক।
৮৬. দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।
৮৭. উত্তপ্ত অবস্থায় যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরে নীরব থাকতে হয়।     ---পোকা
৮৮. বেশি নৈকট্য দূরত্বের সৃষ্টি করে, প্রিয়জনদের থেকে তাই কিছুটা দূরে থাকাই শ্রেয়।
৮৯. যখন কেউ কারো জন্য কাঁদে, সেটা হলো আবেগ।যখন কেউ কাউকে কাঁদায়, সেটা হলো প্রতারণা। আর যখন কেউ কাউকে কাঁদিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলে, সেটাই হলো প্রকৃত ভালোবাসা।
৯০. সুখ কোন অলীক বস্তু নয়, এর জন্যে জীবনব্যাপী কোন সাধনার ও প্রয়োজন নেই। প্রভাতের সূর্য কিরন বা রাতের জোৎস্নার মতই এও আপনাতেই আসে। ---নিশিকাব্য
৯১. অপেক্ষা হলো শুদ্ধতম ভালোবাসার একটি চিহ্ন। সবাই ভালোবাসি বলতে পারে, কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালোবাসা প্রমাণ করতে পারে না।
৯২. সব কিছুতেই টাকা লাগে। জন্মের সময় টাকা লাগে, মৃত্যুর সময়ও টাকা লাগে। ---শুভ্র
৯৩. একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা। ---কবি
৯৪. মেয়েরা তাদের অশ্রু অন্যদের দেখাতে চায় না, প্রিয়জনদের তো কখনোই না। ---কবি
৯৫. আমরা পৃথিবীতে আসি একা, পৃথিবী থেকে ফেরত যাই একা। কিন্ত পৃথিবীতে ঘোরাফিরা করি অনেককে নিয়ে।           ---আঙুল কাটা জগলু
৯৬. মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে, মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু সে যেতে পারে না,  তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও সে ভালমত জানে না। ---রজনী
৯৭. সত্য কখনো কেউ বিশ্বাস করে না। অসত্য কথা, ভুল কথা, বানোয়াট কথা সবাই বিশ্বাস করে।
৯৮. যে ভালোবাসা না চাইতে পাওয়া যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না।
৯৯. তুমি দশটি সত্যর সাথে একটি মিথ্যা মিশিয়ে দাও, সেই মিথ্যাটি সত্য হয়ে যাবে। কিন্তু দশটি মিথ্যার মাঝে একটি সত্যি মিশাও, সত্য সত্যই থেকে যাবে, সেটি আর মিথ্যা হবে না।
১০০. অভিমানের পাল্লা কে কখনো ভারী হতে দিও না। কারণ অভিমানের পাল্লা ভারী হলে সেটা রাগে পরিনত হয়। তখন সাজানো সম্পর্কও এক নিমিষে নষ্ট হয়ে যায়।
১০১. তোমার মূল্যবান সময় তার জন্য অপচয় করো না, যে তার মূল্যবান সময় তোমাকে দেয় না।
১০২. যে ভালবাসা যতো গোপন, সেই ভালবাসা ততো গভীর।
১০৩. স্বার্থ ছাড়া পৃথিবীতে কিছুই নেই। জোছনার স্বার্থেই তো মানুষ চাঁদকে এতো বেশী ভালোবাসে।
১০৪. হাজার বন্ধু বানানো কঠিন বিষয় না, বরং কঠিন বিষয় হলো এমন একজন বন্ধু বানানো যে পাশে দাঁড়াবে, হাজার বন্ধু বিরুদ্ধে গেলে।
১০৫. ভালবাসাটা খুবই জরুরী। সব কিছু অভাব সহ্য করা যায়, কিন্তু ভালবাসার অভাব সহ্য করা যায় না।
১০৬. মানুষকে সবসময় কিছু না কিছু মিস করতে হয়। কোনো কিছু মিস করাতেও এক ধরনের আনন্দ আছে।
১০৭. তুমি আমার জন্য দু’ফোটা চোখের জল ফেলেছ, তার প্রতিদানে আমি জনম জনম কাঁদিব।
১০৮. মানুষই একমাত্র প্রাণী যে পুরোপুরি সফল জীবনযাপন করে, আফসোস নিয়ে মৃতবরণ করে।
১০৯. কষ্টের প্রয়োজন আছে, আনন্দ কে তীব্র করার জন্যই কষ্টের প্রয়োজন।

১১০. ভাল কাজচিন্তা ভাবনা করে করতে হয় না। মন্দ কাজ অনেক চিন্তা ভাবনা করে করতে হয়।
১১১. মেয়েদের কি অদ্ভুত জীবন, একদল অচেনা মানুষকে নিয়ে মাঝখান থেকে জীবন শুরুকরতে হয়।
১১২. লজিক হচ্ছে সিঁড়ির মতো, লজিকের একটা সিঁড়িতে পা দিলে অন্য সিঁড়ি দেখা যায়।
১১৩. ভালবাসা যদি তরল পানির মত কোন বস্তু হত, তাহলে সেই ভালবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমনকি হিমালয় পর্বতও। ---এপিটাফ
১১৪. মেয়েরা আবেগাপ্লুত হয়ে অনেক মিথ্যা কথা বলে। একটা মেয়ে একটা ছেলের ভালো দিকটা কখনো মনে রাখে না। সবসময় খারাপ দিকটাই মনে রাখে। ---উঠোন পেরিয়ে দুই পা
১১৫. মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মানোর চেয়ে ফকির হয়ে জন্মানো ভাল। ফকিরদের অভিনয় করতে হয়না, কিন্তু মধ্যবিত্তদের প্রতিনিয়ত সুখী থাকার অভিনয় করে যেতে হয়।
১১৬. মানুষ হয় দুই শ্রেণীরঃ- এক শ্রেণীর মানুষ কিছুতেই ভাঙবে না, তবে মচ্কাবে। আরেক শ্রেণীর মানুষের চরিত্রে মচকানোর ব্যাপার নেই। সে ভেঙ্গে দু'টুকরা হবে, কিন্তু কখনই মচ্কাবে না। ---বাঘবন্দী মিসির আলী
১১৭. আমাদের এই জগৎ কার্যকারণের জগৎ। কার্যকারণ ছাড়া এখানে কিছুই হয় না । প্রথমে Cause, তারপর Effect.
১১৮. দুর্বোধ্য রহস্যের মুখোমুখি হলে বেশীরভাগ মানুষ এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দিয়ে শেক্সপিয়ার আওড়ায়। দার্শনিক ভাব ধরে বলে - There are many things in heaven and earth.
১১৯. সব কিছু মনে রাখতে নেই, কিছু কিছু জিনিস ভুলে যেতে হয়।
১২০. চমৎকার মেয়েগুলি এমন-এমন জায়গায় থাকে যে ইচ্ছা করলেই হুট করে এদের কাছে যাওয়া যায় না। দূর থেকে এদের দেখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতে হয় এবং মনে মনে বলতে হয়, আহা, এরা কী সুখেই না আছে। ---আকাশ জোড়া মেঘ
১২১. স্বপ্ন টা কেমন ছিল, তা ঘুম ভাঙ্গার পর বুঝা যায়। ঠিক তেমনি কাছের মানুষ কেমন ছিল, তা শুধু হারিয়ে যাবার পর বুঝা যায়।
১২২. সুন্দরী মেয়ে সঙ্গে নিয়ে হাঁটলেই আপনাআপনি ছেলেদের চেহারায় কিছুটা গাম্ভীর্য চলে আসে।
১২৩. কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা রাগলে আরো বেশী সুন্দর লাগে। মেয়েরা সেই কথাটা জানে। তাই তারা রাগতে ভালোবাসে। আর ছেলেরা ভালোবাসে মেয়েদের রাগিয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে।
১২৪. জোছনা দেখতে দেখতে আমার হটাৎ মনে হলো, প্রকৃতির কাছে কিছু চাইতে নেই। কারণ, প্রকৃতি মানুষের কোনো ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখে না।
১২৫. প্রেম নিতান্তই জৈবিক ব্যাপার। নীলপদ্ম বলে একে মহিমান্বিত করার কিছু নেই। ---হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম
১২৬. মানুষের পুরো জীবনটাই একগাদা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অপূর্ণ তৃষ্ণার সমষ্টি। --- আমার আছে জল
১২৭. নিজের জীবনের চাইতে মূল্যবান আর কিছুই নেই। এটা একটা সহজ সত্য। তুমি নেই- তার মানে তোমার কাছে পৃথিবীর কোন অস্তিত্ব নেই। ---আগুনের পরশমণি
১২৮. সব নিম্নস্তরের প্রাণীদের নিজস্ব ভাষা আছে। আমরা তা বুঝতে পারিনা বলে তাদের উচ্চারিত শব্দগুলিকে অর্থহীন মনে হয়। ---হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম
১২৯. আমাদের সবার একটা প্রবল ইচ্ছে, হারিয়ে যাওয়া। সবাই হারিয়ে যেতে চায়। কিন্তু ঘটনা হল হারিয়ে যাওয়ার মতো জায়গাটা কোথায়। ---আজ হিমুর বিয়ে
১৩০. শুধুমাত্র কুমারী মেয়েদের চোখের পানি দেখতে ভাল লাগে। পুরুষ মানুষের চোখের পানি দেখা মাত্রই রাগ ভাব হয়। বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধার চোখের পানি বিরক্তি তৈরি করে। ---সে আসে ধীরে
১৩১. চাঁদের আলোর এক মায়াবী ক্ষমতা আছে। লক্ষ্য করলে বোঝা যায় চাঁদের রুপালী আলোয় পরিচিতজনকেও অপরিচিত লাগে।
১৩২. সব সৌন্দর্যের ব্যাখ্যাতীত কিছু ব্যাপার থাকে। রবীন্দ্রনাথ ব্যাপারটা বুঝেছিলেন বলেই ব্যাখ্যায় না গিয়ে বলেছেন - বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যথা।
১৩৩. ফুলের নামে ছেলেদের রাখা ঠিক না। এতে ছেলেটির ভিতরে মেয়েলি ভাব প্রবল হয়ে ওঠে। সে ছিঁচকাঁদুনে স্বভাবের হয়ে যায়। ---ইষ্টিশন
১৩৪. সত্য কথাগুলো সব সময় বক্তৃতার মতো শোনায়, মিথ্যাগুলো শোনায় কবিতার মত। ---আজ রবিবার
১৩৫. আমরা মানুষের জটিলতা দেখে অভ্যস্ত, সারল্যকে আমরা ভয় করি। কারো ভেতরে ঐ ব্যাপারটি দেখলে থমকে যাই, এবং আমাদের মনের একটি অংশ বলতে থাকে নিশ্চয়ই কোন একটা রহস্য আছে। ---নবনী
১৩৬. অসুস্থ মানুষকে প্রকৃতি খুব প্রভাবিত করে। পরিবেশেরও রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা আছে। ---অনীশ
১৩৭. একটা পরিবারে মায়ের ভূমিকা খুবই অদ্ভুত। পরিবারের যে কোন সদস্য যখন হাসে, মাকে হাসতে হয়। পরিবারের যে কোন সদস্য যখন দুঃখিত হয়, মাকে দুঃখিত হতে হয় । এটা হল পরিবারের দাবি। পরিবার এমন অন্যায় দাবি মা ছাড়া অন্য কারো ওপর করে না। ---মীরার গ্রামের বাড়ী
১৩৮. দু’ধরনের মানুষের মধ্যে পাগলামি প্রকাশিত হয়। প্রতিভাবান মানুষ এবং কর্মশূন্য মানুষ। ---মিসির আলির চশমা
১৩৯. আমরা (বাংলাদেশের মানুষ) অতি দরিদ্র এই কথা সত্যি। দু’বেলা খেতে পারি না এও সত্যি। অভাবের কারণে জাল-জুয়াচুরি কেউ কেউ করে, এও সত্য- তবে সঙ্গে সঙ্গে এটাও সত্যি আমরা আমাদের আত্মাকে হারাইনি। আমরা দুঃখে-কষ্টে জীবন-যাপন করি এবং এর মধ্যেই আত্মাকে অনুসন্ধান করি।খাঁচার ভেতর যে অচিন পাখি আসা-যাওয়া করে সেই পাখিটাকে বোঝার চেষ্টা করি। ---মে ফ্লাওয়ার
১৪০. একঘেয়ে কোন আকর্ষণই আকর্ষণ থাকে না। মায়ের প্রতি মানুষের অন্ধ ভালোবাসা ফিকে হয়ে আসে একঘেয়েমীর জন্যেই। ---অচিনপুর
১৪১. ভালো লাগা এমন এক জিনিস যে একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে। ---বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল
১৪২. প্রকৃতি মাঝে মাঝে মানুষকে এমন বিপদে ফেলে। চোখে পানি আসার সিস্টেম না থাকলে জীবন যাপন হয়তো সহজ হতো। --- হিমুর মধ্যদুপুর
১৪৩. প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূণ্য জগতের বাসিন্দা।
১৪৪. পুরুষ মানুষ দিনরাত স্ত্রীর আঁচলে বাঁধা থাকলে বুঝতে হবে সে পুরুষ মানুষই না। তার কোনো সমস্যা আছে।
১৪৫. মোটামুটি ধরণের ভালোবাসা নিয়ে চল্লিশ বছর পাশাপাশি বাস করার চেয়ে তীব্র ভালোবাসা নিয়ে চার বছর জীবনযাপন করা অনেক ভালো। ---উঠোন পেরিয়ে দুই পা
১৪৬. বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল!              ---জোছনা ও জননীর গল্প
১৪৭. সূর্যোদয় দেখাটা অত্যন্ত জরুরী। এই দৃশ্যটি মানুষকে ভাবতে শিখায়, মন বড় করে। ---এইসব দিনরাত্রি
১৪৮. দিনরাত্রির কিছু কিছু সময় প্রত্যেক মেয়েকে ইন্দ্রাণীর মত লাগে। প্রকৃতি তার সমস্ত সৌন্দর্য তখন মেয়েটির উপর অকৃপণ হাতে ঢেলে দেয়। কিন্তু ঠিক কোন সময়টাতে ইন্দ্রাণী মন্ত্র কাজ করবে তা জানতে পারা অসম্ভব। হতে পারে তা কুয়াশাভেজা স্নিগ্ধ সকালে, অথবা খররৌদ্র পোড়া রুক্ষ দুপুরে কিংবা গভীর জোৎস্নাভেজা নিশিতে।
১৪৯. তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো। আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না।
১৫০. সুখ আসতে শুরু করলে চারদিকে সুখের বান ডেকে যায়। ---নন্দিত নরকে
১৫১. যারা সিগারেট খায় তারা যখন অস্বস্তিকর পরিবেশে পড়ে, তখন তাদের সিগারেট ধরাতে ইচ্ছা করে।
১৫২. অন্ধকার বলে কিছু নেই, আলোর অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলে। তেমনি কষ্ট বলেও কিছু নেই, সুখের সাময়িক অনুপস্থিতিকে কষ্ট বলে। ---সেদিন চৈত্রমাস
১৫৩. কিছু কিছু সময় আসে যখন আমরা বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের সীমারেখায় অবস্থান করি। তখন আমরা একই সঙ্গে দেখতে পাই ও পাই না। বুঝতে পারি ও পারি না। অনুভব করতে পারি ও পারি না। সে বড় রহস্যময় সময়।
১৫৪. সঠিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা আছে শুধুই আল্লাহপাকের। মানুষকে মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে সে মানুষ।
১৫৫. বাংলাদেশের মেয়েদের চোখ এত সুন্দর কেন? তারা বেশি কাঁদে এই জন্যই সুন্দর। ---মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই
১৫৬. সত্যিকারের ভালোবাসার একটা বড় লক্ষণ ভালোবেসে সুখ পাওয়া যায় না, কখনো না। ---পাখি আমার একলা পাখি
১৫৭. জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর! এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।
১৫৮. যারা মিথ্যা বলেনা, তারা খুব বিপদজনক। তারা যখন দু-একটা মিথ্যা বলে তখন সেই মিথ্যাকে সত্য ধরা হয়। এক হাজার ভেড়ার পালে একটা নেকড়ে ঢুকে পড়ার মতো। এক হাজার সত্যির মধ্যে একটা মিথ্যা। সে মিথ্যা হবে ভয়ংকর মিথ্যা। --- মেঘের ওপর বাড়ি
১৫৯. খুব কাছের কাউকে ভুলে যাওয়ার কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। প্রতিদিন তাকে মনে পড়তে থাকবে।
১৬০. রূপবতী নারীদের অনুরোধ প্রত্যাখান করতে নেই। প্রত্যাখান করলে অভিশাপ লাগে। রূপের অভিশাপ। রূপ তখন ধরা দেয় না। রূপের অভিশাপে পড়া ভয়াবহ ব্যাপার।
১৬১. চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম। --- দেয়াল
১৬২. মেয়েদের অনেক গুণের মধ্যে বড় গুণ হলো এরা খুব সুন্দর করে চিঠি লিখতে পারে। কথাবার্তায় নিতান্ত এলোমেলো মেয়েও চিঠি লেখায় গোছানো। মেয়েদের চিঠিতে আরেকটা ব্যাপার থাকে - বিষাদময়তা। নিতান্ত আনন্দের সংবাদ দিয়ে লেখা চিঠির মধ্যেও তারা জানি কী করে সামান্য হলেও দুঃখ মিশিয়ে দেয়। কাজটা যে তারা ইচ্ছা করে করে তা না। প্রকৃতি তাদের চরিত্রে যে বিষাদময়তা দিয়ে রেখেছে তাই হয়তো চিঠিতে উঠে আসে। ---সে আসে ধীরে
১৬৩. মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় তাঁকে খুঁজে বের করুক।
১৬৪. ঝমবৃষ্টির মধ্যেও চোখের পানি আলাদা করা যায়।
১৬৫. লেখালেখি এক ধরনের থেরাপি। ব্যক্তিগত হতাশা, দুঃখবোধ থেকে বের হয়ে আসার পথ। আমি এই থেরাপি গ্রহন করে নিজের মনকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করি। ---বলপয়েন্ট
১৬৬. মানুষ এবং পশু শুধু যে বন্ধু খোঁজে তা না, তার প্রভুও খোঁজে। ---দেয়াল
১৬৭. লেখককে চিনব তার লেখা দিয়ে। ব্যক্তিগত ভাবে তাকে চেনার কিছু নেই। ---বলপয়েন্ট
১৬৮. পৃথিবীর নিয়ম বড় অদ্ভুত। যাকে তুমি বেশি ভালোবাসবে সেই তোমার দুঃখের কারন হবে।
১৬৯. যে তার ভালবাসা প্রকাশ করতে পারে না, সে আসলেই ভালবাসতেই জানে না।
১৭০. কুয়াশার গন্ধ বড়ই শীতল, প্রকৃতিময় একটি গন্ধ। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলে দেহ মন সতেজ হয়ে যায়।                          ---মিসির আলী আনসল্ভড
১৭১. মৃত্যুর সময় প্রিয়জনদের দেখতে ইচ্ছে করে।                ---আকাশ জোড়া মেঘ
১৭২. মোমবাতির আলোয় বই পড়ার আলাদা একটা আনন্দ আছে। আধো আলো আধো ছায়া। বইয়ের জগৎটিও তো তাই- অন্ধকার এবং আলোর মিশ্রণ। লেখকের কল্পনা হচ্ছে আলো, পাঠকের বিভ্রান্তি হচ্ছে অন্ধকার।
১৭৩. ফেলে আসা দিনগুলোই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি সুন্দর হয়। যেমন ধরুন, আপনার স্কুল লাইফ। সত্যিই সেই দিনগুলো দারুন ছিলো।
১৭৪. বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।
১৭৫. ভালোবাসা কখনো হারায় না। কখনো নষ্ট হয় না। কোন না কোনভাবে থেকেই যায়। ---শঙ্খনীল কারাগার
১৭৬. একজন পুরুষ মানুষের চরিত্র আপনি চিনতে পারবেন, সে তার জীবন সঙ্গী হিসেবে কেমন নারী নির্বাচন করেছে তা দেখে। অন্যদিকে একজন নারীর চরিত্র চিনতে পারবেন, তার পরিধানকৃত পোশাকের নমুনা দেখে।
১৭৭. হাসিতে খুব সহজেই একজন মানুষকে চেনা যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে, কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে। ---ময়ূরাক্ষী
১৭৮. প্রেম এবং করুণা এক ব্যাপার নয়। প্রেম সর্বগ্রাসী ব্যাপার, প্রেমের ধর্ম হচ্ছে অগ্নি। আগুন যেমন সব পুড়িয়ে দেয় প্রেমও সব ছাড়খার করে দেয়। ---তন্দ্রাবিলাস
১৭৯. . মানুষ কোনো কিছুতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তার বাইরে যেতে পারে না।
১৮০. মানুষের মুখ দেখে কিছু বোঝার উপায় নাই। মানুষ খুব জটিল জিনিস। এর চেয়ে যন্ত্র ভালো। যন্ত্র দেখলে বোঝা যায় যন্ত্র ঠিক আছে না, নষ্ট।
১৮১. যে ব্যক্তি সৃষ্টিকর্তাকে ভয় পায়, সৃষ্টিকর্তা তার চলার পথ সহজ করে দেয়। যে ব্যক্তি সৃষ্টিকর্তার ওপর প্রবল বিশ্বাস রাখে, সৃষ্টিকর্তা তার ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেনা।
১৮২. একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কখনো বন্ধু হতে পারে না। একবারের জন্য হলেও তারা একে অপরের প্রেমে পড়বে।
১৮৩. বিরাট খোলা মাঠে একা থাকা যায়, কিন্তু ছোট্ট একটা বাড়ীতে একা থাকা যায় না। ---নক্ষত্রের রাত
১৮৪. পৃথিবীতে অনেক বিকারগ্রস্ত মানুষ আছে। তারা বাথরুমের ফুটো দেখলেই চোখ রাখবে। ---পাখি আমার একলা পাখি
১৮৫. অসম্ভব সুন্দর সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের কম। কোনো সুন্দর জিনিসের দিকেই মানুষ বেশি সময় তাকিয়ে থাকতে পারে না।
১৮৬. পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ থাকে যাদের কখনো অপরিচিত মনে হয় না।
১৮৭. যা করতে তোমার ভাল লাগে তা অবশ্যই করবে। কে কি বলছে বা বলছে না তা নিয়ে মাথা ঘামাবে না। কারণ একটা জিনিস মনে রাখবে, তুমি আছ বলেই এই পৃথিবী টিকে আছে। তুমি নেই পৃথিবীও নেই। ---পাখি আমার একলা পাখি
১৮৮. মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।
১৮৯. মানুষের সব শখ মেটা উচিত নয়। সব শখ মিটে গেলে মানুষের বেঁচে থাকার প্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়।
১৯০. হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকেনা।
১৯১. সুন্দরী মেয়ে দেখলে ছেলেদের মাথা ঠিক থাকে না। সুন্দরী মেয়েদের গায়ের বাতাস খাবার জন্যে ছেলেরা করে না এমন জিনিস নাই। ---ইস্টিশন
১৯২. পুরুষের হচ্ছে ভালোবাসা ভালোবাসা খেলা। মেয়েদের ব্যাপার অন্যরকম, তাদের কাছে ভালোবাসার সঙ্গে খেলার কোন সম্পর্ক নেই। একটা মেয়ে যখন ভালোবাসে তখন তার ভালোবাসার সাথে অনেক স্বপ্ন যুক্ত হয়ে যায়। সংসারের স্বপ্ন, সংসারের সঙ্গে শিশুর স্বপ্ন। একটা পুরুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন সে শুধু তার প্রেমিকাকেই দেখে আর কাউকে নয়।
১৯৩. শীতের রাতে ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খাবার অন্যরকম আনন্দ আছে। চা খেতে-খেতে মাঝে-মাঝে আকাশের দিকে তাকিয়ে আকাশের তারা দেখতে হয়। সারা শরীরে লাগবে কনকনে শীতের হাওয়া, হাতে থাকবে চায়ের কাপ। দৃষ্টি আকাশের তারার দিকে। তারাগুলিকে তখন মনে হবে সাদা বরফের ছোট-ছোট খণ্ড। হাত দিয়ে ছুঁতে ইচ্ছা করবে, কিন্তু ছোঁয়া যাবে না।
১৯৪. বাবা-মা-ভাইবোনকে নিয়ে একসময় ভালোবাসার বৃত্তের মধ্যে একটা সংসার ছিল। সেই বৃত্ত ভেঙে গেছে, নতুন বৃত্ত তৈরি করে প্রত্যেকেই আলাদা সংসার করছি। আমাদের সবার ভুবনই আলাদা, এই ভুবনও একদিন ভাঙবে। আমরা অচেনা এক বৃত্তের দিকে যাত্রা করবো। সেই বৃত্ত কেমন কে জানে? পৃথিবীতেই এত রহস্য। না জানি কত রহস্য অপেক্ষা করছে অদেখা ভুবনে।
১৯৫. কেউ ভালোবাসা নিয়ে খেলা করলে, তাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ।
১৯৬. নার্ভাস এবং ভীতু মানুষ চট করে মিথ্যা বলতে পারে না।   ---জনম জনম

Comments

Popular Posts

টেক্সটাইল ডাইং কেমিক্যাল গুলির নাম এবং ব্যবহার

ডাইং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন : ১. সোডা  :  কালার ফিক্সং  করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জন্য  ব্যবহার করা  হয়। ২. পার-অক্সাইড : ফেব্রিকের মধ্যে থাকা ন্যাচারাল গ্রে কালার রিমুভ করতে ব্যবহার করা হয়। ৩. স্টেবিলাইজার : পার-অক্সাডের রিয়েকশন স্টেবল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যাবহার না করললে পার-অক্সাইড খুব দ্রুত ভেঙে পার-হাইড্রোক্সিল আয়ন গুলি শেষ করে ফেলবে, যা ব্লিচিং এর জন্য দায়ী। ৪. ডিটারজেন্ট :  ওয়েটিং অথবা ক্লিনিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ৫. এন্টিক্রিজিং এজেন্ট:  নিটিং এর পর ও ওয়েট প্রসেসিং এর সময়  ফেব্রিকে ভাজ অথবা ক্রিজ পরে ফলে সেড আন-ইভেন আসতে পারে। ডাইং এর সময় তাই তা দূর করতে এক ধরনের ক্রিজ রিমুভার ব্যবহার করা হয় যেন ক্রিজ না পরে। এটি লুব্রিকেশন টাইপ এর কেমিক্যাল। ৬. সিকুস্টারিং এজেন্ট: পানির মধ্যে থাকা মেটাল আয়ন, হার্ডনেস রিমুভ করতে  ও পানিকে সফট করতে ব্যবহার করা হয়। ৭. ওয়েটিং এজেন্ট :  সারফেস টেনশন দূর করে ফেব্রিকের ভিজানোর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ওয়েটিং প্রপার

উপন্যাসের গঠন কৌশল

বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক E.M. Forster- এর মতে, কমপক্ষে ৫০ হাজার শব্দ দিয়ে উপন্যাস রচিত হওয়া উচিত। উপন্যাস সাহিত্যের এমন একটি মাধ্যম যেখানে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার অবকাশ থাকে। এখানে লেখক প্রাণখুলে তাঁর মতামত লিপিবদ্ধ করতে পারেন বা একেকটি চরিত্রকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন সকল ধরনের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। উপন্যাসকে এক সুবিশাল ক্যানভাস হিসেবে ধরা যায়, লেখক তাঁর পরিকল্পনা মাফিক একেকটি অধ্যায়কে জায়গা করে দেন সেখানে। স্থান-কালের যথার্থ উল্লেখ, বাস্তবতার প্রতি তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখা, মানুষের হৃদয়ের গভীর তলদেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা—ইত্যাদি দরকার একটি সার্থক উপন্যাসের জন্য। উপন্যাস বিশ্লেষকগণ একটি সার্থক উপন্যাসের গঠন কৌশল নিয়ে ছয়টি রীতির কথা বলেছেন। প্লট বা আখ্যান সম্পাদনাঃ উপন্যাসের ভিত্তি একটি দীর্ঘ কাহিনি। যেখানে মানব-মানবীর তথা ব্যক্তির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, ঘৃণা-ভালোবাসা ইত্যাদি ঘটনা প্রাধান্য লাভ করে। উপন্যাসের প্লট বা আখ্যান হয় সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত। প্লটের মধ্যে ঘটনা ও চরিত্রের ক্রিয়াকাণ্ডকে এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয় যাতে তা বাস্তব জীবনকে প্র

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ সমূহ

জায়নামাযে দাঁড়ানোর দোয়া اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ حَنِيْفًا وَّمَا اٰنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ- উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজ্হিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ছানা سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلَا اِلٰهَ غَيْرُكَ- উচ্চারণ- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বি-হামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। রুকূর তাসবীহ سُبْحَانَ رَبِّىَ الْعَظِيْمِ উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম। অর্থাৎ- আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করতছি। তাসমীহ سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَهْ উচ্চারণ- সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ। অর্থাৎ- যে তাহার (আল্লাহর) প্রশংসা করে, আল্লাহ তাহা শুনেন। তাহমীদ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ উচ্চারণ- রাব্বানা লাকাল হামদ। অর্থাৎ- হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি প্রশংসিত। সিজদার তাসবীহ سُبْحَانَ رَبِّىَ الْاَعْلٰى উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা। অর্থাৎ- আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করতেছি। আত্তাহিয়্যাতু اَلتَّحِيّ