Skip to main content

মহাকাশ বিজ্ঞানের এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 রাতের আকাশে পিটপিট করে কত কত তারা। মনে হয় বিরাট বড় একটা ড্রইং খাতার পৃষ্ঠায় কে যেন ছোট্ট ছোট্ট ফোঁটা দিয়ে রেখেছে‍! দেখতে তো ছোট্ট একটা বিন্দুর মতো, কিন্তু একেকটা তারার প্রকৃত আকার ও আয়তন শুনলে কিন্তু ভিরমি খাবার দশা হয়। অজস্র তারা রয়েছে যেগুলো পৃথিবীর চেয়েও আকারে বহুগুণে বড়, এমনকি সূর্যের চেয়েও বড়সড় সাইজের তারাও রয়েছে। এই তারাগুলো মাঝেমধ্যে দিগ্বিদিক ছোটাছুটিও করে। এসব মজার আর অবাক কাণ্ড সারাক্ষণই ঘটতে থাকে মহাবিশ্বে। রহস্যময় মহাশূন্য নিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য।

✎ আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এই বেগে ১ বছরে যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ১ আলোক বর্ষ বলে। 
✎ সূর্য পৃথিবীর নিকম নক্ষত্র। 
✎ সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড। 
✎ পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার।
✎ সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টোরাই (Proxima Centauri)। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪.২ আলোক বর্ষ যা প্রায় ৮ লক্ষ কোটি কিলোমিটারের সমান। 
✎ প্রথম মহাকাশচারী জীব হল লাইকা নামের একটি কুকুর । ১৯৫৭ সালে রাশিয়ার স্পুটনিক ২ তে চড়ে মহাকাশে যাত্রা করেছিল। অক্সিজেনের অভাবে মহাকাশেই এর মৃত্যু হয় । 
✎ আমাদের সুর্য ও সমস্ত সৌরজগত ২৫০ মিলিয়ন বছরে একবার আকাশঙ্গার চারদিকে প্রদক্ষিন করে । এই ২৫০ মিলিয়ন বছর কে এক গ্যালাক্টির ইয়ার বলা হয় । 
✎ আজ পর্যন্ত একবার মাত্র গ্রহানুর আঘাতে একটি কৃত্তিম উপগ্রহ বিনশক্ট হয়েছিল । ১৯৯৩ সালে ইউরোপিয়ান স্পেশ এজেন্সির অলিম্পাস উপগ্রহ । 
✎ ভলকান নামের একটি গ্রহের কথা হয়তো আপনি শুনে থাকবেন । অনেকদিন ধরে মহাকাশবিদরা এর অস্তিত্ত কল্পনা করতেন । মনে করা হত যে এই গ্রহটি বুধ ও সূর্যের মাঝে রয়েছে । 
✎ BluBlocker সানগ্লাসের জন্ম নাসার আমেরিকান মহাকাশবিদদের জন্য তৈরী লেন্স থেকে । 
✎ ওজন হিসাবে সূর্যে ৭০% হাইড্রোজেন, ২৮% হিলিয়াম ১.৫% নাইট্রোজেন, ও ০.৫% অন্যান্য গ্যাস রয়েছে । 
✎ Carolyn Shoemaker একজন মাহাকাশবিদ যিনি প্রায় ৩০০ টি গ্রহানু আবিষ্কার করেন । 
✎ প্রতিদিন সূর্যের তাপে পৃথিবীর ১ ট্রিলিয়ন (1000000000000 টন) টন জল বাষ্পিভুত হয় । 
✎ প্রতি ২৩৮ বছরে নেপচুন ও প্লুটোর কক্ষের পরিবর্ত্ন হয় এর ফলে নেপচুন সুর্যের থেকে দূরতম গ্রহ হয় 
✎ নেপচুন গ্রহটি অঙ্ক করে আবিষ্কার করা হয় । 
✎ যদি আপনি বুধ গ্রহে দাঁড়িয়ে সূর্যের দিকে দেখেন তাহলে সূর্যকে পৃথিবীতে দেখা সূর্যের থেকে ২.৫ গুন বড় দেখাবে । 
✎ ১৯৫৮ সালে আমেরিকা ৩ টি ইঁদুর কে মহাকাশে পাঠায় তাদের নাম মিয়া লাস্কা ও বেনজি । 
✎ একটি স্পেশ শাটল কেবলমাত্র ৮ মিনিটে ২৭০০০ কিমি/ঘন্টার গতিতে পৌছায় । 
✎ বৃহস্পতি গ্রহটি ১২ বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিন করে । 
✎ বৃহস্পতি গ্রহটি নিজের অক্ষের উপরে একপাক ঘুরতে ১০ ঘণ্টার কিছু কম সময় নেয় । www.fb.com/tanbir.cox
✎ মঙ্গলের অলিম্পাস মন্স সৌরজগতের সবথেকে বৃহত্তম আগ্নেয়গিরী । 
✎ টোই একমাত্র গ্রহ যেখানে এখোনো পর্যন্ত কোনো মহাকাশযান পাঠানো হয়নি । 
✎ ১৯৩০ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারী Clyde Tombaugh প্লুটো আবিষ্কার করেন । 
✎ এখোনো পর্যন্ত ইঊরেনাসের ২৭ টী উপঘহ খুজে পাওয়া গেছে । 
✎ ইউরেনাস এমন একটি গ্রহ যা উত্তর দক্ষিনে তার আহ্নিক গতি সম্পন্ন করে । 
✎ ইউরেনাসে গ্রীষ্ম ও শীত ঋতু ২১ বছর (পৃথিবীর) ধরে থাকে । 
✎ কিছু কিছু গ্রহাণুর নিজসব উপ-গ্রহানু রয়েছে, যা এদের কে প্রদক্ষিন করে । 
✎ মহাকাশচারিরা মহাকাশে গেলে মাধ্যাকর্ষের অভাবে সামান্য লম্বা হয়ে যায় । 
✎ পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের ৫৯% দেখতে পাই । বাকি ৪১% উল্টোদিকে মুখ করে থাকে । www.fb.com/tanbir.cox
✎ পৃথিবীতে আপনার ওজন যদি ১০০ কেজি হয় তবে মঙ্গলে আপনার ওজন হবে মাত্র ৩৮ কেজি 
✎ ধূমকেতুর লেজ সর্বদা সূর্যের বিপরিত দিকে থাকে । 
✎ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষনকে অতিক্রম করতে যেকোনো মহাকাশজানের গতি হতে হবে সেকেন্ডে ৭ মাইল । 
✎ যদি কেউ স্পেশশুট ছাড়া মহাকাশে বেরোয় তাহলে তার শরীর অক্সিজেনেও অভাবে মারা যাওয়ার পরিবর্তে বোমার মত বিষ্ফোরিত হবে! কারন মহাকাশে বায়ুর চাপ নেই । 
✎ Jonathan Swift এর লেখা Gulliver’s Travels এ মঙ্গলের দুটি উপগ্রহের কথা বর্ননা রয়েছে । অথচ এই বই লেখার ১০০ বছর পরে মঙ্গলের উপগ্রহ দুটির আবিষ্কার হয় । 
✎ মহাকাশে যাত্রা করার সময় মহাকাশবিদরা ঠিকভাবে কাঁদতে পারে না, কারন মাধ্যাকর্ষনের অভাবে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে না । শুন্যে ভেসে থাকে । 
✎ একটি মহাকাশ অভিযানে দেখা গেছে যে ব্যাঙ উপরের দিকে সোজা লাফায় । 
✎ বৃহস্পতির উপগ্রহ গ্যানিমেডের আকার বুধ গ্রহের থেকে বড় । 
✎ পৃথিবীতে মিনিটে গড়ে ৬০০০ টি বজ্রপাত হয় । 
✎ শনির বলয়ের পরিধী ৫০০.০০০ মাইল হলেও এর বেধ মাত্র একফুটের কাছাকাছি 
✎ মহাকাশ থেকে পতিত ধূলিকনার কারনে আমাদের পৃথিবী প্রতিদিন ১০০ টন করে ভারি হচ্ছে ।
✎ সবুজ গ্রহ’ বলা হয় যে গ্রহকে- ইউরেনাস
✎ মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠের রং হলো- লাল
✎ যে গ্রহের উপগ্রহের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী- বৃহস্পতি গ্রহ
✎ পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ- শুক্র
✎ শনির চতুর্দিকে বেষ্টনকারী বলয়ের সংখ্যা- ০৩ টি
✎ সৌরজগতের যে গ্রহে বায়ু প্রবাহের গতি সবচেয়ে বেশী- নেপচুন
✎ মঙ্গল গ্রহের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গের নাম - অলিম্পাস মনস (Olympus Mons)
✎ সূর্যের সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ- বুধ
✎ ডিমোস উপগ্রহটি যে গ্রহের- মঙ্গল গ্রহ
✎ শুকতারা বা সন্ধ্যাতারা হিসেবে পরিচিত- শুক্র গ্রহ
✎ শুক্র গ্রহ ঘড়ির কাটার দিকে ঘুড়ে বাকি সব গ্রহ ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুড়ে।www.fb.com/tanbir.cox
✎ পৃথিবীর চেয়ে সূর্য কত বড় জানো? - তিন লাখ গুণ!
✎ হ্যালির ধুমকেতু শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল ১৯৮৭ সালে। এটি আবারও দেখা যাবে ২০৬১ সালে। সুযোগ কিন্তু মিলতে পারে দেখার, ক্যামেরা হাতের কাছে রেখে দিও!
✎ সবচেয়ে উত্তপ্ত ভূখণ্ড ওয়ালা গ্রহ ভেনাস। এর সাধারণ তাপমাত্রাই থাকে সাড়ে ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
✎ অনেক বিজ্ঞানীর মতে, সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে ডাইনোসরের অস্তিত্ব পুরোপুরি বিলোপ পেয়েছিল ছুটে আসা কোনো এক গ্রহাণুর আঘাতে।
✎ সৌরজগতের উৎপত্তি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি বছর আগে।
✎ শনি হচ্ছে একমাত্র বলয়যুক্ত গ্রহ।
✎ পৃথিবী থেকে যে মহাকাশচারীরা চাঁদে গিয়ে পায়ের ছাপ আর টায়ারের ছাপ রেখে এসেছিলেন, ওগুলো আজীবন থেকে যাবে। কারণ চাঁদে কোনো বাতাস নেই, তাই ওগুলো নিজ থেকে মুছে যাবারও কোনো রকম আশঙ্কা নেই!
✎ মানুষের বানানো কোনো কিছু প্রথম মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৫৭ সালে। ‘স্পুটনিক’ নামের একটি স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছিল রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) থেকে।
✎ ২০০৬ সালে গ্রহের সংজ্ঞায়নে একটু পরিবর্তন এনেছেন জ্যোতির্বিদরা। নতুন সংজ্ঞামতে প্লুটো এখন একটি বামন গ্রহ!
✎ বৃহস্পতিগ্রহের উপগ্রহ চারটি। এটাকে মজা করে এভাবেও বলা হয় যে, জুপিটারের চাঁদ চারটি! এই চার চাঁদের নাম খুব সুন্দর- ইউরোপা, গ্যানিমেড, ক্যালিস্টো ও লো।www.fb.com/tanbir.cox
✎ মঙ্গলগ্রহে অভিকর্ষের টান খুবই কম। বিষয়টা এ রকম- যে মানুষটির পৃথিবীতে ওজন ২০০ পাউন্ড, মঙ্গলে গিয়ে তার ওজন মাপলে পাওয়া যাবে মাত্র ৭৬ পাউন্ড!
✎ সূর্য আর চাঁদের অভিকর্ষজনিত কারণে জোয়ারভাটা হয়।
✎ ব্লাকহোল আলোর গতিতে মহাবিশ্বে গতিশীল।

✎ আপনি যদি ব্লাকহোলে এক সেকেণ্ড সময় কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন তাহলে দেখবেন পৃথিবী অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে, কারন আপনার অতিবাহিত ঐ এক সেকেন্ডে পৃথিবী অসীম সময় অতিক্রম করেছে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? বিশ্বাস করুন আর নাই করুন। এটা পরিক্ষিত সত্য। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ব এটাই বলে............।।

✎ আমাদের সৌরজগতে শুক্র বা ভেনাসই একমাত্র গ্রহ যা ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরছে (clockwise) বা পৃথিবীর সাপেক্ষে backwards .আপনাদের জানিয়ে রাখি আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলির দুই ধরনের গতি আছে। পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি,শনি যে ঘড়ির কাটার বিপরীতে ঘুরে পশ্চিম দিক হতে পুর্ব দিক দিয়ে সুর্যকে প্রদক্ষিণ করছে সে গতি কে বলা হয়. Direct. বা prograde.আর শুক্র বা ভেনাস যে ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরে সেই গতিকে বলা হয় retrograde motion.শুক্র গ্রহই যে সন্ধ্যাতারা আর ভোরের তারা এটা হয়তো অনেকেরই জানা। শুক্র গ্রহের সাথে আকারগত অনেক মিল আছে পৃথিবীর। তবে অমিলগুলো অগনিত। 
আমরা জানি প্রতিটি গ্রহ সুর্যকে একটি নির্দিষ্ট অক্ষের থেকে প্রদক্ষিণ করে। এটা ছাড়াও সে তার নিজের অক্ষের উপরেও সর্বদা ঘুর্নায়মান। অর্থাৎ নিজের অক্ষের উপর ঘুরতে ঘুরতে গ্রহগুলি সুর্যকে প্রদক্ষিণ
করে। যেমন পৃথিবীর নিজ অক্ষের একবার ঘুরতে সময় লাগে প্রায় ২৪ ঘন্টা আর সুর্য কে প্রদক্ষিণ করতে প্রায় ৩৬৫ দিন।
কিন্তু শুক্রের ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং। এটি সুর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর হিসেবে ২২৫ দিনের মতো সময় নেয়। এটা মোটামুটি নর্মাল একটি ব্যাপার কিন্তু অবাক করার মত ব্যাপার হল এটি তার নিজ অক্ষের একবার ঘুরতে সময় নেয় পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ২৪৩ দিনের মতো।
ব্যাপারটা বুঝতে আপনি কল্পনা করুন আপনি শুক্রগ্রহে যদি দাড়িয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন শুক্রের ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরার কারণে সুর্য পুর্ব দিকে না উঠে পশ্চিম দিক থেকে উদিত হয়ে দীর্ঘ ১১৬.৭৫ দিন পরে পুর্ব দিকে অস্তমিত হচ্ছে।
শুক্রের এই শ্লথগতির ঘুর্ননের মুল কারণ এর হালকা বায়ুমণ্ডলে টাইডাই ইফেক্ট। যা ক্রমাগত শুক্রের ঘুর্ননগতির বীপরিতে ঘর্ষণ সৃষ্টি করার মাধ্যমে হয়তো এর ঘুর্ননগতি কমিয়ে দিয়েছে।
আর শুক্রগ্রহ কেন ঘড়ির কাঁটার (clockwise) ঘুরছে তা নিয়ে বিভিন্ন মত আছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাখাটা সংঘর্ষ সংক্রান্ত।
ধারণা করা হয় কয়েক মিলিয়ন বছর আগে কোন বড় ধরনের গ্রহ বা গ্রহানুর সাথে সংঘর্ষে পতিত হবার ফলেই হয়তো এর ঘুর্ননটা অন্যদের চেয়ে ভিন্নধর্মী।

[ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত]

Comments

Popular Posts

টেক্সটাইল ডাইং কেমিক্যাল গুলির নাম এবং ব্যবহার

ডাইং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন : ১. সোডা  :  কালার ফিক্সং  করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জন্য  ব্যবহার করা  হয়। ২. পার-অক্সাইড : ফেব্রিকের মধ্যে থাকা ন্যাচারাল গ্রে কালার রিমুভ করতে ব্যবহার করা হয়। ৩. স্টেবিলাইজার : পার-অক্সাডের রিয়েকশন স্টেবল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যাবহার না করললে পার-অক্সাইড খুব দ্রুত ভেঙে পার-হাইড্রোক্সিল আয়ন গুলি শেষ করে ফেলবে, যা ব্লিচিং এর জন্য দায়ী। ৪. ডিটারজেন্ট :  ওয়েটিং অথবা ক্লিনিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ৫. এন্টিক্রিজিং এজেন্ট:  নিটিং এর পর ও ওয়েট প্রসেসিং এর সময়  ফেব্রিকে ভাজ অথবা ক্রিজ পরে ফলে সেড আন-ইভেন আসতে পারে। ডাইং এর সময় তাই তা দূর করতে এক ধরনের ক্রিজ রিমুভার ব্যবহার করা হয় যেন ক্রিজ না পরে। এটি লুব্রিকেশন টাইপ এর কেমিক্যাল। ৬. সিকুস্টারিং এজেন্ট: পানির মধ্যে থাকা মেটাল আয়ন, হার্ডনেস রিমুভ করতে  ও পানিকে সফট করতে ব্যবহার করা হয়। ৭. ওয়েটিং এজেন্ট :  সারফেস টেনশন দূর করে ফেব্রিকের ভিজানোর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ওয়েটিং প্রপার

উপন্যাসের গঠন কৌশল

বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক E.M. Forster- এর মতে, কমপক্ষে ৫০ হাজার শব্দ দিয়ে উপন্যাস রচিত হওয়া উচিত। উপন্যাস সাহিত্যের এমন একটি মাধ্যম যেখানে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার অবকাশ থাকে। এখানে লেখক প্রাণখুলে তাঁর মতামত লিপিবদ্ধ করতে পারেন বা একেকটি চরিত্রকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন সকল ধরনের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। উপন্যাসকে এক সুবিশাল ক্যানভাস হিসেবে ধরা যায়, লেখক তাঁর পরিকল্পনা মাফিক একেকটি অধ্যায়কে জায়গা করে দেন সেখানে। স্থান-কালের যথার্থ উল্লেখ, বাস্তবতার প্রতি তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখা, মানুষের হৃদয়ের গভীর তলদেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা—ইত্যাদি দরকার একটি সার্থক উপন্যাসের জন্য। উপন্যাস বিশ্লেষকগণ একটি সার্থক উপন্যাসের গঠন কৌশল নিয়ে ছয়টি রীতির কথা বলেছেন। প্লট বা আখ্যান সম্পাদনাঃ উপন্যাসের ভিত্তি একটি দীর্ঘ কাহিনি। যেখানে মানব-মানবীর তথা ব্যক্তির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, ঘৃণা-ভালোবাসা ইত্যাদি ঘটনা প্রাধান্য লাভ করে। উপন্যাসের প্লট বা আখ্যান হয় সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত। প্লটের মধ্যে ঘটনা ও চরিত্রের ক্রিয়াকাণ্ডকে এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয় যাতে তা বাস্তব জীবনকে প্র

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ সমূহ

জায়নামাযে দাঁড়ানোর দোয়া اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ حَنِيْفًا وَّمَا اٰنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ- উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজ্হিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ছানা سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلَا اِلٰهَ غَيْرُكَ- উচ্চারণ- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বি-হামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। রুকূর তাসবীহ سُبْحَانَ رَبِّىَ الْعَظِيْمِ উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম। অর্থাৎ- আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করতছি। তাসমীহ سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَهْ উচ্চারণ- সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ। অর্থাৎ- যে তাহার (আল্লাহর) প্রশংসা করে, আল্লাহ তাহা শুনেন। তাহমীদ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ উচ্চারণ- রাব্বানা লাকাল হামদ। অর্থাৎ- হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি প্রশংসিত। সিজদার তাসবীহ سُبْحَانَ رَبِّىَ الْاَعْلٰى উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা। অর্থাৎ- আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করতেছি। আত্তাহিয়্যাতু اَلتَّحِيّ