"আসসালামু আইলাইকুম রাসেল ভাই। ক্যামন আছেন জিজ্ঞেস করবো না, কারণ আমি জানি আপনি সবসময় ভালোর দলে থাকেন। আপনি কখনোই খারাপের দলে যান না। খারাপের দলে-তো থাকি শুধু আমরা!
আচ্ছা যাই হোক, এতো প্যাঁচাল পাইরা লাভ নাই, এমনিতেই কলরেট বাড়াইসে আমার আবার এতো এম্বি নাই যে এতো কষ্ট কইরা টাইপ কইরা এম্বি নষ্ট করুম, বুঝেন নাই ব্যাপারটা?
আসলে আপনারে ইমেইল পাঠানির কারণ হইলো গিয়া কয়দিন আগে আমার লগে একটা সাংঘাতিক কাহিনী ঘইট্টা গেছে। তো এতো কথা না কইয়া ঘটনায় যাইগা।
তো গত ১৫ তারিখ রাত্তিরবেলা আমি বন্দর থাইকা নয়াসড়ক যাইবার লাইজ্ঞা রিকশায় উঠছিলাম! যখন রিকশায় উডি তখন ছিল ঘুটঘুইট্টা আন্ধাইর! না মানে আসলে সচরাচর রাইত এতোটা আন্ধাইর না যতটা আন্ধাইর সেদিন ছিল! এইটা দেইক্ষা আমি অনেক ভয় পাইছিলাম!
এরপরে রিক্সা চইলতে থাকলো! কিন্তু আমার ক্যান জানি মনে হইলো রিকশা কাপতাছে! আমার শরীরে ২০৬ টা হাড় ডরে কাপতাচ্ছিল! কারণ এর আগে আমি দুইবার রিকশায় উঠছিলাম তখন এতো কাপে নাই! আমার বুইঝতে বাকি রইলো না আমার লগে পেরানোরমাল কাহিনী ঘটতাছে!
এরপরে আমার চোখ পড়লো রিকশা ওয়ালা ব্যাডার দিকে! তারে দ্যাখেই আমার গায়ের লোম খারায়া গ্যালো! কি অদ্ভুত ব্যাডার চেহারা! কি অদ্ভুত ব্যাডার পেট, এতো বড় পেট কখনোই কোনো মানুষের হইতে পারে না! ব্যাডারে দেইক্ষা আমার খুব ভয় লাগলো! ভয় তাড়াইতে আমি আমার মোবাইল বাইর কইরা আমার আইডল স্যার মাহফুজুর রহমানের গান হুনতে লাগলাম!
আমি ততক্ষণে অনেক ভয় পাইয়া গেছিলাম! কিন্তু সর্বশেষ কাহিনী যেইডা ঘটলো সেইটা মোকাবেলার জন্য মুই মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না! রিকশাওয়ালা ব্যাডা আমার দিকে তাকাইলো, কি অশ্লীল ছিল ব্যাডার চেহারা তা আমি বুঝাইতে পারতাম না! রিকশাওয়ালা আমার দিকে চাইয়া বলল,
'কি হিংসা হয়?, আমার মত হইতে চাস?'
আমি বুঝতে পারলাম না রাসেল ভাই আমার ক্যানো এমন হইতেছে! মদ তো বেশী খাই নাই! হঠাৎ কইরা আমার মাথাডা ঘুরাইয়া উঠলো, চারিদিকে স্যার মাহফুজুর রহমানের গান বেজে উঠলো! আমি জ্ঞান হারাইলাম!
সকালবেলা আমার যখন ঘুম ভাঙল আমি দ্যাখলাম আমি রাস্তায় চিত হইয়া হুইত্তা আছি, লোক আমারে দেইখা হাসতাছে। আমি তাদেরকে কালকের ঘটনা কইলাম, তারা আরো জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলো!
পরে আমি একজন কবিরাজের কাছে গেছিলাম।,কবিরাজআমারে বলল,
'মদ খাবি মানুষ হবি!'
এরপর থাইকা আমি নিয়মিত মদ খাইতে লাগলাম। আমার আর কোনো সমস্যা হয় নাই।
Comments
Post a Comment