Skip to main content

স্পেশাল চিকেন কোর্মা_রেসিপি

লখনউ স্পেশ্যাল চিকেন কোর্মা নাম শুনে যতই মনে হোক এতে প্রচুর টেকনিকের দরকার। আসল কোর্মা বানানো খুব কঠিন। কিন্তু চিকেন কোর্মা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং রান্নাতেও খুব সোজা। তাই নবাবের শহর লখনও থেকে আমরা আজ চিকেন কোর্মা বেছে নিয়েছি আপানাদের কাছে তুলে ধরার জন্য।
তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন এই লখনউ স্পেশ্যাল চিকেন কোর্মা।

পরিবেশন - ৪
প্রস্তুতির সময় - ১০ মিনিট
রান্নার সময় - ৪০ মিনিট

উপকরণ:
মুরগীর মাংস - ১ কেজি (মাঝারি মাপের টুকরো)
ঘি - ৪ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ - ৪টি (স্লাইস)
ছোট এলাচ - ৫টি
লবঙ্গ - ৫-৬টি
আদা বাটা - ২ টেবিল চামচ
রসুন বাটা - ২ টেবিল চামচ
দই - ১ কাপ
ধনে গুঁড়ো - ২ টেবিল চামচ
লাল লঙ্কাগুঁড়ো - ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো - ১ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
নুন - স্বাদমতো

প্রণালী:
মাংসের টুকরোগুলি ভাল করে পরিষ্কার করুন। অতিরিক্ত জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন।
একটি কড়ায় ঘি গরম করুন।
এতে পেঁয়াজের স্লাইস দিয়ে ভাজতে থাকুন।
পেঁয়াজের রং বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
এবার ভাজা পেঁয়াজ তুলে নিন। অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে নিন।
ভাজা পেঁয়াজ একট জল দিয়ে ভাল করে বেটে নিন। একটা মিহি পেস্ট তৈরি হলে পাশে সরিয়ে রেখে দিন।
এবার এই কড়াইতেই ছোট এলাচ ও লবঙ্গ দিয়ে ভাজতে থাকুন।
এবার এতে মাংসের টুকোগুলো দিয়ে দিন। ৪-৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন।
মাংসের টুকরোগুলি তুলে আলাদা সরিয়ে রাখুন।
এবার ওই একই তেলে আদা-রসুন বাটা দিন। তাতে হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ২-৩ মিনিট ভাজুন।
আবার ভাজা মাংস কড়াইতে দিয়ে দিন। ৪-৫ মিনিট রান্না করুন।
একটি বাটিতে দই ও পেঁয়াজ বাটা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
মাংসের কড়াইতে ঢেলে দিন দউ-পেঁয়াজের পেস্টটা।
নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ঢেকে দিন। ২০-২৫ মিনিট হাল্কা আঁচে রান্না হতে দিন।
এতে ছোট কাপের দেড় কাপ জল কিছু সময়ের তফাতে তফাতে দিতে থাকুন।
মাংস পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে গেলে গরম মশলা গুঁড়ো উপর থেকে ছড়িয়ে দিন।
ঢাকা দিয়ে হাল্কা আঁচে আরও ১০ মিনিট রান্না করুন।

ব্যস, তৈরি লখনউ স্পেশ্যাল চিকেন কোর্মা।

Comments

Popular Posts

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ সমূহ

জায়নামাযে দাঁড়ানোর দোয়া اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ حَنِيْفًا وَّمَا اٰنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ- উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জা...

উপন্যাসের গঠন কৌশল

বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক E.M. Forster- এর মতে, কমপক্ষে ৫০ হাজার শব্দ দিয়ে উপন্যাস রচিত হওয়া উচিত। উপন্যাস সাহিত্যের এমন একটি মাধ্যম যেখানে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার অবকাশ থাকে। এখানে লেখক প্রাণখুলে তাঁর মতামত লিপিবদ্ধ করতে পারেন বা একেকটি চরিত্রকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন সকল ধরনের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। উপন্যাসকে এক সুবিশাল ক্যানভাস হিসেবে ধরা যায়, লেখক তাঁর পরিকল্পনা মাফিক একেকটি অধ্যায়কে জায়গা করে দেন সেখানে। স্থান-কালের যথার্থ উল্লেখ, বাস্তবতার প্রতি তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখা, মানুষের হৃদয়ের গভীর তলদেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা—ইত্যাদি দরকার একটি সার্থক উপন্যাসের জন্য। উপন্যাস বিশ্লেষকগণ একটি সার্থক উপন্যাসের গঠন কৌশল নিয়ে ছয়টি রীতির কথা বলেছেন। প্লট বা আখ্যান সম্পাদনাঃ উপন্যাসের ভিত্তি একটি দীর্ঘ কাহিনি। যেখানে মানব-মানবীর তথা ব্যক্তির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, ঘৃণা-ভালোবাসা ইত্যাদি ঘটনা প্রাধান্য লাভ করে। উপন্যাসের প্লট বা আখ্যান হয় সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত। প্লটের মধ্যে ঘটনা ও চরিত্রের ক্রিয়াকাণ্ডকে এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয় যাতে তা বাস্তব জীবনকে প্র...

টেক্সটাইল ডাইং কেমিক্যাল গুলির নাম এবং ব্যবহার

ডাইং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন : ১. সোডা  :  কালার ফিক্সং  করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জ...