Skip to main content

বেনসন অ্যান্ড হেজেস

ধূমপানের সঙ্গে আমরা সকলে বেশ ভালোভাবেই পরিচিত। আর ধূমপান জগতের এক অনন্য পরিচিত নাম হলো ‘বেনসন অ্যান্ড হেজেস’। বেনসন অ্যান্ড হেজেস ১৮৭৩ সালে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন রিচার্ড বেনসন ও উইলিয়াম হেজেস। বেনসন আর হেজেস কে নিয়ে বেশ কিছু কাহিনী প্রচলিত আছে। যেগুলো কতটুকু সত্য তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও কাহিনীগুলো বেশ মজার ও অবিশ্বাস্য। এমনই একটি প্রচলিত কাহিনী হলো রিচার্ড বেনসন ও উইলিয়াম হেজেসের প্রেম কাহিনী। কাহিনীটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও যুগ যুগ ধরে লোকমুখে কাহিনীটি অমর হয়ে আছে।

উনিশ শতকের শুরুতে ইংলিশ জনগণ আমেরিকানদের থেকে বেশ সভ্য ছিলো, এ জন্য তারা আমেরিকানদের পছন্দ করত না। সে সময়ে ইংলিশ মেয়ে বেনসন ও আমেরিকান ছেলে হেজেস একে অপরের প্রেমে পড়েছিলো। তাদের দুজনেরই পরিবার এই প্রেম ভালো নিতে পারেননি এবং তাদের এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তারা অনেক চেষ্টা করে দুজনের পরিবারকে এক করার জন্য, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। ফলে বাধ্য হয়ে তারা দুজনেই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে।

পরবর্তীতে তাদের পরিবার নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে এমন কিছু করতে চায় যা তাদের ইতিহাসে অমর করে রাখবে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা সিগারেট তৈরি করবে যা যুগ যুগ ধরে মানুষের ঠোঁটে থাকবে আর মানুষ তাদের স্মরণে রাখবে। পরবর্তীতে হয়েছিলও তাই, কেননা বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও একজন মানুষ বেনসন অ্যান্ড হেজেস সিগারেট পান করে থাকে।

Comments

Popular Posts

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ সমূহ

জায়নামাযে দাঁড়ানোর দোয়া اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ حَنِيْفًا وَّمَا اٰنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ- উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জা...

টেক্সটাইল ডাইং কেমিক্যাল গুলির নাম এবং ব্যবহার

ডাইং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন : ১. সোডা  :  কালার ফিক্সং  করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জ...

উপন্যাসের গঠন কৌশল

বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক E.M. Forster- এর মতে, কমপক্ষে ৫০ হাজার শব্দ দিয়ে উপন্যাস রচিত হওয়া উচিত। উপন্যাস সাহিত্যের এমন একটি মাধ্যম যেখানে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার অবকাশ থাকে। এখানে লেখক প্রাণখুলে তাঁর মতামত লিপিবদ্ধ করতে পারেন বা একেকটি চরিত্রকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন সকল ধরনের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। উপন্যাসকে এক সুবিশাল ক্যানভাস হিসেবে ধরা যায়, লেখক তাঁর পরিকল্পনা মাফিক একেকটি অধ্যায়কে জায়গা করে দেন সেখানে। স্থান-কালের যথার্থ উল্লেখ, বাস্তবতার প্রতি তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখা, মানুষের হৃদয়ের গভীর তলদেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা—ইত্যাদি দরকার একটি সার্থক উপন্যাসের জন্য। উপন্যাস বিশ্লেষকগণ একটি সার্থক উপন্যাসের গঠন কৌশল নিয়ে ছয়টি রীতির কথা বলেছেন। প্লট বা আখ্যান সম্পাদনাঃ উপন্যাসের ভিত্তি একটি দীর্ঘ কাহিনি। যেখানে মানব-মানবীর তথা ব্যক্তির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, ঘৃণা-ভালোবাসা ইত্যাদি ঘটনা প্রাধান্য লাভ করে। উপন্যাসের প্লট বা আখ্যান হয় সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত। প্লটের মধ্যে ঘটনা ও চরিত্রের ক্রিয়াকাণ্ডকে এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয় যাতে তা বাস্তব জীবনকে প্র...