ফেক্টরিতে বায়ার আসলে কি করবেন জেনে রাখুন।
বায়ার অডিটে আসলে কি করবেনঃ
গার্মেন্টস এর জন্যঃ
১. স্যাম্পল রুমে ওই বায়ার এর ডেভলমেন্ট স্যাম্পল গুলি থাকতে হবে গার্মেন্টস রিলেটেড সার্টিফিকেশন যেমন BCCI, WARP ইত্যাদি দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখুন।
২. পর্যাপ্ত রিফ্রেশমেন্ট বা খাবার দাবার এর ব্যাবস্থা রাখুন।
৩. অল ফেক্টরির উপর যে কোয়ালিটি ম্যানুয়াল আছে, আর তা যদি না থাকে তবে তা বানিয়ে নিন তা হার্ড কপি সবাইকে দিয়ে দিন ।
৪. দেয়ালে পর্যাপ্ত ইন্সস্ট্রাকশন ঝুলিয় রাখুন।
৫. সব ওয়ার্কার এর কস্টিউম, ফতুয়া, মাস্ক বাধ্যতামূলক করে দিন।
৬. সিড়ি পরিস্কার রাখুন গেইট গুলি খোলা রাখুন।
৭. যে কোন লাইনে যেখানে বায়ার যাওয়ার পসিবিলিটি আছে সেখানে একটি লাইনে তাদের একটি স্টাইল চালু রাখুন।
৮. নিডেল ডিটেকশন মেশিন চালু রাখুন সে সময়।
৯. ইন্সপেকশন, কোয়ালিটি পরিছন্ন এবং তাদের ১০০% এলার্ট রাখুন।
১০. ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন কে এমনি শুধু শুধু দাড়িয়ে থাকতে বা রাউন্ড দিতে বলুন।
ডাইং ফেব্রিক ডিপার্টমেন্টঃ
১. জেনে নিন কোন বায়ার আসবে তাদের প্রোফাইল স্টাডি করুন তারা কি কি পছন্দ করে কি কি করে না, কিংবা অন্য ফেক্টরিতে ওই বায়ার থাকলে তাদের কাছে বায়ার এর অডিট ক্রাইটেরিয়ার ব্যাপারে জানুন।
২. ফ্লোরে ব্যাচার ট্রলি আলাদা করা সাজিয়ে রাখুন।
৩. ফিনিশ গুডস আর নন ফিনিশিং গুডস আলাদা করে রাখুন।
৪. ভেজা কাপড় লাইট কালার এর কাপড় গুলি পলি দিয়ে কভার করে রাখুন।
৫. ফায়ার এক্সটিংগুইশার, হোশ পাইপ এর সামনে কিছু রাখা হারাম।
৬. সবার গায়ে অফিস ফতুয়া, হাতে গ্লোবস, চেখে গ্লাস, নাকে মাস্ক পায়ে গাম বুটে এনসিউর করেবেন, মেশিন এর সামনে পানি থাকা যাবে না ।
৭. প্রডাকশন এর পরিমান কম হল মেশিন বায়ার কে চালু অবস্থায় দেখানোর জন্য কাপড় কে বর্ডার লাগিয়ে রেডি রাখুন যেনো বায়ার ঢুকে প্রডাকশন রানিং দেখে ।
৮. ভুলে ও ইন্সপেকশন মেশিনে ময়লা থাকা যাবে না।
৯. ডাইং এর লাইট বক্স কালো কাপড়ে ঢাকা থাকতে হবে।
১০. সিজার, শার্ট নাইফ এই গুলি চেইন বা রশি দিয়ে বাধা থাকতে হবে।
১১. ক্যামিকেল স্টোরে প্রতীটা ক্যামিকেল এর ইউজার ম্যানুয়েল বা SOP থাকতে হবে।
১২. বায়ার এর সামনে ভুলেও হাত কাপড় টেনে ছেড়া, স্রিংকেজ এর স্যাম্পল কাটা, কাপড় এর মাথা থেকে GSM কাটা যাবা না।
১৩. মেশিনে এটি প্রিন্টেড কার্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে যেখানে লেখা থাকবে Allocated for Organic Cotton.
১৪. ইন্সপেকশন সেকশনে 4 পয়েন্ট ইন্সপেকশন এর তথ্য গুলি লেখা থাকবে, আর ফল্ট এর ডিস্পলে থাকবে যেখানে ফল্ট গুলি ঝুলিয়ে রাখা হবে।
১৫. ইকো সার্টিফিকেশন, বা এক্রিডেশন থাকলে তা বায়ার দেখতে পায় এমন যায়গায় না মিটিং রুমে ঝুলিয়ে রাখুন।
১৬. বায়ার আসার আগে পুরো ফ্লোর জাড়া মোছা করে রাখুন বিশেষ করে তারা যেখান দিয়ে যাবে সেই রাস্তার পাশের মেশিন গুলি এবং সাইড পরিস্কার করে রাখতে হবে।
১৭. হিট জেনারেট করে এমন মেশিন এর গা ঘেষে কিছু রাখা যাবে না, যেমন কিউরিং মেশিন, ড্রায়ার, স্টেনটার, কম্পেক্টর।
১৮. যে বায়ার অডিটে আসবে ফ্লোরে তাদের কাপড় গুলি খুজে বের করে হাটার রাস্তার পাশাপাশি রাখুন যেনো বায়ার এসে সেগুলি দেখে পারেলে ওই মুহুর্তে ওই বায়ার এর কাপড় ফিনিশিং রানিং রাখুন।
সারাংশঃ
বায়ার মুলত পরিবেশ এর উপর কাজ দেয় না দেয় কস্টিং, কোয়ালিটি, সার্ভিস এর উপর কিন্তু তারা বিজনেস ম্যান এর বাইরে একজন হিউম্যান তাই তারা ফেক্টরির ওয়ার্ক স্টেন্ডার্ড এবং কাজের পরিবেশ দেখে এটা তাদের ওয়ার্ক এথিকস ।
বায়ার অনেক ফেক্টরিতে তে কেনো কাজ দেয়ঃ-
বায়ার দের স্ট্রেটেজি আছে যে তারা অল্প অল্প আকারে অনেক ফেক্টরিতে কাজ দিয়ে রাখে যেনো তারা তাদের শিপমেন্ট ডিউ টাইম মতো দিয়ে দিতে পারে আর তারা যদি একটি নির্দিষ্ট ফেক্টরীতে দিতো তা হলে তারা জিম্মি হয়ে যেতো সমস্যা হলে তারা সময় মতো ডেলিভারি দিতে পারতো না তাই দেখবেন তারা নিদিষ্ট কাওকে ৫-৬ লক্ষ এর অর্ডার না দিয়ে তারা ৫-৬ লক্ষ কে ৫-৬ ভাগে ৫,৬ জন কে দেয় যাতে তাদের হাতে অনেক সাপ্লাইয়ার থাকে আর তাদের সাপ্লাইচেইন ঠিক থাকে আর সাপ্লাইয়ার দের মাঝে প্রতিযোগিতা থাকে তাদের কস্টিং সেইভ হয়।
তাই বায়ার দের প্রয়োজনে তারা অনেক সাপ্লাইয়ার হাতে রাখতে চায় এটি ফেক্টরি গুলির জন্য প্লাস পয়েন্ট, এয়া ভাবার উপায় নেই যে বায়ার হাত ছাড়া হয়ে যাবে ।
বায়ার আনার উপায়ঃ
প্রায় প্রতিটা বায়ার এর একটা বিজনেস লিয়াজু অফিস থাকে যা বাংলাদেশী বিভিন্ন ট্রেডার রা নিয়ন্ত্রন করে, প্রথমত তাদের সাথে কাজের জন্য ওয়ার্ক ওর্ডার, অডিট করার জন্য বিজনেস প্রপোজাল পাঠাতে হয় তারা ক্যাপাসিটি, কোয়ালিটি বিবেচনা করে তারা ওই ফেক্টরির সাথে চুক্তি করে ।
তবে ওর্ডার এর ভলিউম এবং কাজ মুলত ডিল করের বাইং হাউস এর কান্ট্রি ম্যানাজার গন ফেক্টরি অর্ডার এবং ডেভলপমেন্ট নির্ভর করে মুলত ফেক্টরির মালিক ম্যানেজমেন্ট এর সাথে উক্ত কান্ট্রি ম্যানাজার দের সুসম্পর্ক কেমন তার উপর।
Comments
Post a Comment