ফার্স্ট এইড বক্সে যা থাকবেঃ
ড্রেসিংয়ের ব্যান্ডেজ। ২০ – ২৫ টি অ্যাডহেসিভ ব্যান্ডেজ (বিভিন্ন সাইজের), যা ব্যান্ড এইড নামে পরিচিত। পাঁচটি স্টেইরাল (জীবানূমুক্ত) গজ প্যাড এবং গজ রোল তুলা। মাইক্রোপোর, রোল লিউকোপ্লাস্ট (ব্যান্ডেজে আঠা লাগানোর জন্য)।ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ (স্ক্রেপ ব্যান্ডেজ), হাঁটু, কনুই বা গোড়ালির আঘাতের ক্ষেত্রে পেঁচিয়ে এই ব্যান্ডেজ দিতে হয়। দুটি ত্রিকোণাকৃতি ব্যান্ডেজ – আর্ম সিলিং তৈরির জন্য।
আরো যা থাকবেঃ
২ জোড়া গ্লাভস, ৫টি সেফটি পিন, ছোট কাঁচিটুইজার বা চিমটা, একটি থার্মোমিটার, পকেট মাস্ক (কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়ার জন্য)।
যে সব ওষুধ রাখতে হবেঃ
এন্টিসেপটিক সল্যুশন (যেমন- বিটাডিন, স্যাভলন বা ডেটল ইত্যাদি) এন্টিবায়োটিক ওয়েস্টম্যান (যেমন- ব্যাকট্রোবেন)। নরমাল স্যালাইন (ছোট বোতল)। সিলভার সালফা ডায়াজিন (সিল্ক ক্রিম), পোড়া বা ক্ষতের জন্য।হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম- পোকায় কামড়ের চিকিৎসায় কাজে লাগে। জ্বর ও মাথাব্যথার জন্য- প্যারাসিটামল সিরাপ, ট্যাবলেট ও সাপোজিটার। এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ- ঠান্ডা অ্যালার্জির জন্য (যেমন- অ্যালাট্রল, এভিল, লরাটিডিন)। বমিবমি ভাব বা বমির রোধের জন্য- ডমপেরিডন ট্যাবলেট বা সিরাপ।ডায়রিয়ার জন্য মুখে খাবার স্যালাইন। এসিডিটি রোধের জন্য এন্টাসিড ট্যাবলেট, সিরাপ। এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনভিত্তিক কিছু ওষুধ যোগ করা যেতে পারে। যেমন- তীব্র ব্যাথানাশক হিসাবে আইবুপ্রোফেন রাখা যেতে পারে।
কোনো মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি হলে দ্বিগিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি না করে যথাস্থানে সাহায্য চাওয়া উচিৎ। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক চিকিৎসক, নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও এম্বুলেন্স নম্বর একটি কাগজে লিখে রাখুন এবং তা সংরক্ষণ করুন ফার্স্ট এইড বক্সের ভিতরে বা চোখে পড়ে এমন জায়গায়। কোন হাসপাতাল কোন বিষয়ের জন্য তাও ছোট করে লিখে রাখুন।
© মোঃ শামীম শিহাব
Comments
Post a Comment