-ধ্যাত অহনা ফোন টা ধরছে না কেন? কতবার করে ফোন করে যাচ্ছি।
কথা টা বলতে বলতে রাস্তায় থাকা পাথর টা লাথি মারলো সোহেল। অহনার সাথে রিলেশন মাত্র ৩ সপ্তাহের, এর মধ্যেই অহনা আরেকজনের সাথে প্রেম শুরু করে দিয়েছে। আগে সোহেলের এক বন্ধুর সাথে প্রেম ছিলো অহনার। এরপর ওই বন্ধুর সাথে ব্রেকাপের পর সোহেলের সাথে প্রেম শুরু করেছিলো। সোহেল সবকিছু জানে তারপরও লোভ সামলাতে পারেনি। কিন্তু আজকে সে মনে মনে ভাবছে রাতে অহনাকে বলবে এইসব খেলা বন্ধ করতে।
রাতের বেলায় অহনাকে ফোনে বিজি পাচ্ছে সোহেল। ১০টা থেকে বারবার ফোন করেও পাচ্ছে না। রাত ১১ঃ৩০ মিনিটে অহনা নিজেই কল দিলো সোহেলকে,
-কি এতবার ফোন দেওয়া লাগে? বিজি দেখো না?
-বিএফদের সাথে কথা বলা শেষ হইসে?
-মানে কি? তুমি আমাকে সন্দেহ করছো? তুমি এত নিচ?
-অনেক হইসে অহনা আর কত? নিজের মানষিকতা টা বদলাও। প্রথমে আমার বন্ধুর সাথে, পরে আমার সাথে। তারপর আরো কত কারো সাথে? কেনো এমন কর তুমি? শোধরাবা না নাকি হ্যা? ভালো হও, না হলে পরে পস্তাবা...
-যা থার্ড ক্লাস পোলা তোর কথা বলা লাগবে না।তোর মত লো কোয়ালিটির পোলাগো লগে কথা না বললেই কি? দেখি তুই আমার কি **টা ফালাস...
-আচ্ছা ভালো থেকো। আল্লাহ হাফেজ।
-যা যা...
.
৩ দিন পরঃ
আজকে সোহেল সেহরিতে কলিজা ভুনা করেছে।দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। খেতে গিয়ে বুঝলো এবারের কলিজা একটু বড় আর নরম। দেখে খুব শান্তি লাগলো। খেতে বসে টিভিটা অন করেই সোহেল খবর শুনলো,
-গতকাল সকালে কাটাবন এলাকায় পানির ট্যাংকে একটা মেয়ের ডেডবডি পাওয়া গেছে।মেয়েটার বুকের নিচে সম্পূর্ণ কাটা দাগ ছিলো। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে পাওয়া যায়, মেয়েটির কলিজা ছিলো না। বিষয়টি পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে......"
খবরটা শুনে সোহেলের মুখে ধূর্ত হাসি ফুটে উঠলো!
© মোঃ শামীম শিহাব
রাত ১১:৩৫ মিনিট
০৩/০৬/২০১৮
Comments
Post a Comment