খালিদ আমার মাথায় হাত রাখল আর আমি সব কিছু ভুলে গেলাম। আমাকে কোলে করে আব্বুর অফিসে নিয়ে গেলো। আমার মাথা ঘুরছিলো।
- কি হয়েছে?
- ওর শরীর খারাপ লাগছে।
- আমার মনে হয় আসল সময় হয়ে গেছে নওরিনের জাগার।
আব্বুর কথায় আমি খালিদের জামার কলার চেপে ধরলাম,
- কি...হয়েছে আমার....
খালিদ আমাকে নিয়ে ছাদে চলে গেলো। আমাকে নিচে শুয়িয়ে দিলো আর আমার মাথাটা নিজের বাহুতে নিলো। আমার চোখ বন্ধ ছিলো। আমার গলায় খালিদ মুখ লাগিয়ে দিলো। কিছুক্ষণ পর আমার গলায় একটা তীব্র ব্যাথা অনুভব হলো যেনো কেউ ছুরি বসিয়ে দিয়েছে। আমি ব্যাথায় খালিদের জামা চেপে ধরলাম। ছটফট করে পা ছুড়ছিলাম।
- খালিদ, আমার গলায় কি দিয়েছ....প্লিজ.....খুব ব্যাথা।
আমার চেঁচানোতে খালিদ আমার মুখ চেপে ধরল। খালিদের দাত আমার গলায়, এক হাত আমার মুখে আর এক হাত দিয়ে আমাকে ধরে আছে। আমার শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে গেলো। খালিদের জামা ছেড়ে দিলাম। কিছুক্ষণ এর জন্য অজ্ঞান হয়ে গেলাম। খালিদ আমার গলার থেকে নিজের দাঁত সরিয়ে নিলো। তারপর নিজের হাতে কামড় দিয়ে রক্ত টেনে নিলো। আমার ঠোট ফাক করে দিয়ে নিজের মুখ লাগিয়ে দিলো। আমি চোখ খুললাম। আমার জ্ঞান ফিরে আসতেই আমি বুঝলাম আমার মুখে খালিদের রক্ত। আমি চোখ দুইটা আবার বন্ধ করে খালিদের মুখ থেকে তার রক্ত খেতে লাগলাম।
.
সব রক্ত আমার মুখে খাওয়ানোর পর খালিদ আমাকে ছেড়ে দিলো।
- হিমা, তোমার মনে পড়েছে আমি কে?
আমার চোখ পানিতে ভরে আসলো। আমি খালিদের গালে হাত দিলাম। পেছন থেকে গুলির আওয়াজ আসলো। আমি আর খালিদ পেছনে তাকালাম। নীল রিভলভার তাক করে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখে আগুন। এতো রাগ করতে তাকে আমি কখনো দেখি নি তাকে।
- খালিদ, তোমার সাহস কি করে হলো নওরিনকে ভ্যাম্পায়ার বানাতে।
আমি খালিদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ালাম।
- নীল তুমি খালিদকে ভুল বুঝচ্ছ। তুমি খালিদকে মারতে পারো না। খালিদ আমার বাগদত্তা।
.
রাতের ওই ঘটনার পর আমার ৭ দিন পর ঘুম ভাঙ্গলল। চোখ খুলে দেখি খালিদ আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে। খালিদের গলার দিকে নজর পড়তেই আমি তার শিরা অনুভব করলাম। রক্তের পিপাসা লেগে গেলো। আমি উঠে বসে খালিদের সাদা শার্ট চেপে ধরলাম।
- খালিদ....আমি.....
- আমি জানি হিমা। তোমার লজ্জা পাওয়ার কোন দরকার নেই। আমি জানি তুমি কি চাও।
খালিদের বলার সাথে সাথে আমি ওকে ধরে বিছানায় ফেলে দিলাম। আমার চুলগুলো ৭ দিনের তুলনায় অনেক বড় হয়ে গেছে। চুলগুলো খালিদের গায়ে ছড়িয়ে পড়ল। আমি খালিদের ওপর উঠে বসে ওর ঘাড়ে জিহবা দিয়ে টেনে নিলাম। ওকে শক্ত করে ধরে ওর ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দিলাম। খালিদ মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
.
আমার রক্তের পিপাসা মিটে গেলে আমি উঠে বসলাম। খালিদও উঠে বসল।
- তোমার সব মনে পড়েছে হিমা?
- হ্যা।
- কি কি মনে পড়েছে?
- আমি পিয়র ব্লাড ভ্যাম্পায়ার। আব্বু আম্মুও পিয়র ব্লাড ভ্যাম্পায়ার ছিলো। হিমা নাম আমাকে আম্মু দিয়েছিলো।
- হিমা মানে কি জানো?
- কি?
- রক্ত।
- আমাকে আমাদের বংশের এক পিয়র ব্লাড ভ্যাম্পায়ার মারতে চেয়েছিলো। আমার রক্ত খেয়ে সে আরও শক্তি শালী হতে চেয়েছিলো। আমাকে বাচানোর জন্য আম্মু আমাকে মানুষ বানিয়ে দিয়েছে।
-.....
- আমার মতো মেয়েকে বাচানোর জন্য....
আমি সহ্য করতে না পেরে নিজেকে জড়িয়ে ধরলাম। আশে পাশে আরো জোরে ঝড় হতে লাগলো। হয়ত এটা আমার পিয়র ব্লাড ভ্যাম্পায়ার হওয়ার পাওয়ার।
.
খালিদ আমাকে পিছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরল।
- চুপ, একদম চুপ। তোমার আব্বু আম্মু তোমাকে ভালোবাসত। তাদের ভালোবাসাকে তুচ্ছ করবা না কখনো।
- আর আমাকে এতদিন আমার আব্বুর বন্ধু মানুষ করেছে। আমাকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসা দিয়েছে।
- আর আমি কে?
- তুমি আমার সব।
- হিমা!
খালিদ আমার ঠোঁটে লাগা তার রক্ত হাতে নিয়ে চেটে খেলো।
- I love you হিমা। I miss you.
আমি নতুন ভ্যাম্পায়ার না। আমি মুলত জন্মগত পিয়র ব্লাড ভ্যাম্পায়ার ছিলাম।
চলবে......
লেখাঃ মোঃ শামীম শিহাব
Comments
Post a Comment