Skip to main content

মিশন দড়িয়াপাড়

যতদূর মনে পড়ছে,  এইগল্পটা আমি ক্লাস সিক্স বা সেভেন এ থাকতে লিখেছিলাম।

     চুপি চুপি সবাই ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলল। তখন সময় প্রায় মধ্যরাত,চারদিক অন্ধকার ঘুঁটঘুঁট করছে। সবারই বুকের ভেতরটা ভয়ে ধপধপ করছে। তবে অন্ধকারের জন্য নয়, কেউ যদি দেখে ফেলে সেই ভয়ে সবাই অস্থির। গজারির বাগানটা পেরিয়ে সামনেই বাংলো মতন জায়গাটাই ওদের টার্গেট। ওখানেই আটকে রেখেছে আফতাবকে। নিঃশব্দে বাংলোর পেছন দিকটায় এগিয়ে গেলো। পেছনের ভাঙা জানালার পাশে এসে দাড়ায় সামির। পেছনে রকিব ও মনির খেয়াল রাখছে যে ওদের উপর কারও নজর পড়ে কিনা। ভেতরে দেখার চেষ্টা করে সামির। কিন্তু প্রচন্ড অন্ধকারের জন্য কিছুই দেখতে পায় না।    হাতে টর্চ লাইট থাকলেও সেটা ব্যবহার করতে পারছেন না। কারণ, এটা করলে ওরা আততায়ীদের নজরে পড়তে পারে। বাংলোর সামনে একটা লাইট জ্বলছিল, টিনের ছিদ্র দিয়ে একটু আলো আসছিল। সেই আলোতে রুমের ভেতরের একপাশে হালকা আভা দেখা যাচ্ছিল। অবয়বটা দেখে চিনতে কষ্ট হয়নি ওর। অটাই ছিল রবিন। সামির ইশারায় ওর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করল। অনেক চেষ্টা করেও পেল না।
    কোন উপায় না দেখে সাগরকে ডাকল ও। এই রকম পরিস্থিতিতে সাগর ভাল পাগলামি করতে পারে।
     ‘টিন কেটে ফেলি’,সাগর বলল।
     ‘মাথা খারাপ,শব্দ হবে খুব।’
     ‘তাহলে কি করা যায়?’
     ‘কোন রকম সাউন্ড ছাড়া যা করা যায়, সেটাই করা দরকার। এক কাজ কর, আগে আফতাবকে ডাক।’
বলতেই সাগর একটা মাটির টুকরা নিয়ে ছুরে মারল রবিনের গায়ে। রবিন দেখে তো অবাক!
     ‘কেমন করে আসলি এখানে? যদি কেউ এসে পড়ে।আর কে কে আসছে?’
     ‘চিন্তা করিস না, আমরা সবাই আছি। এখন বল, তোকে বাইরে আনা যাবে? কোন পথ আছে কি?’
     ‘না, আমাকে তো চোখ বেধে রেখেছিল। কিছুই দেখতে পাইনি।’
     ‘কিছু খাইসছ তুই?’
     ‘না, পানি ছাড়া কিছুই খাওয়া হয়নি।’
     ‘ঠিক আছে, দেখি কিছু ব্যবস্থা করতে পারি কিনা।’
সামির মনিরকে ডেকে কিছু খাবার জোগাড় আনতে বলে। মনির দ্রুত কিছু খাবার এনে এবং রবিনকে খেতে দিল। খাওয়া শেষ করে ময়লাগুলো বাইরে ফেলে দেওয়া হল।এদিকে রাত প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু তারা কিছুই করতে না পেরে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিল। পরদিন একটা কিছু করতে হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা ফিরে আসলো।

   বেলা প্রায় এগারোটা বাজে। চৈত্র মাসের গরমে চারদিক আগুনের মত হয়ে উঠছে। সূর্যতাপ ক্রমশ প্রখর রাস্তাঘাট জন-মানবশূন্য, প্রখর সূর্যতাপের কারনে কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারছেনা। সবার জীবন যেন থেমে গেছে। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাইরে যেতে চায় না।
   কিন্তু, এমন অবস্থায় কোন কাজ ছাড়া কয়েকটি ছেলে রোদের মধ্যে ঘুরাঘুরি করছে। এরা কিন্তু কখনও কাজ ছাড়া থাকে না। প্রশ্ন হল কি কাজ > আসলে কিছুই না। ঘুরাঘুরিটাই ওদের সব সময়কার কাজ। তবে ছেলে হিসেবে সবাই খুব ভাল। ভাল ছাত্র, সবায় মোটামুটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। সারাদিন আড্ডা, খেলাধুলা আর নানা কি যেন প্রোগ্রাম করে বেড়ায়। সবাই একত্রে কলেজ মাঠে গিয়ে জড়ো হয়। কলেজটা বাজারের খুব কাছেই।দীর্ঘক্ষণ পর শেষ হয় ওদের আড্ডা। তবে এটাই শেষ নয়, বিকালেই আবার জমবে।
   সবাই যার যার বাড়িতে চলে গেল। রকিবের বাড়িটা বাজার এবং কলেজের কাছেই, তাই ও রয়ে গেল। সবাই বাড়ি গিয়ে গোসল, খাওয়া – দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে আবার কলেজ মাঠে চলে আসে। কেউ খেলে আবার কেউ বসে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে, খেলাধুলা শেষ করে সবাই এক সাথে বসে। জমে উঠে ওদের আড্ডা। আড্ডা শেষে রাত এগারোটার মধ্যে সবাই বাড়ি ফিরে আসে। এভাবেই কাটতে থাকে তাদের দিন।
   বরাবরের মতই সেদিনও বিকালে ওরা ঘুরতে বের হল। ঘুরতে ঘুরতে দরিয়াপাড়ের দিকে চলে আসল। নদীর পাড়ে এসেই সামির বলল, আজ আর কোথাও যাব না রে। চল এখানেই বসি। বলতে দেরি হলেও বসতে কিন্তু কোন দেরি হয়নি। জমিয়ে আড্ডা শুরু হল। এর মধ্যেই অনেকেই সিগারেট ধরাল।
আসলে অনেক বন্ধু-বান্ধব এক সাথে বসলে এই রকম হতেই পারে। এর মধ্যেই সিগারেট শেষ হয়ে গেল। সামির রবিনকে উদ্দেশ্য করে, বলল যা এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে আয়। বলে, একশত টাকা বাড়িয়ে দিল। টাকাটা নিয়ে রবিন গেল সিগারেট কিনতে। কাছেই দোকান আছে, ওখান থেকেই আনবে। তাই সাথে আর কেউ গেলনা।
   সে দোকানে গিয়ে এক প্যাকেট সিগারেট চাইল। হঠাৎ কোন একটা কিছু তার নজর পড়ে। লম্বা, কালো একটা লোক দোকানীকে কিছু একটা দিল। ভাবটা এমন ছিল যে, অনেক সিরিয়াস একটা ব্যাপার। কেউ দেখলে সমস্যা হবে। তাছাড়া সেই লোকটিও পরোপরি সন্দেহজনক। জিনিস্টা দিয়েই লোকটি চলে গেল। ব্যাপারটা রবিনকে উদ্বিগ্ন করে তুলল।
   সে দ্রুত সিগারেটের প্যাকেটটা নিয়ে লোকটির পিছু নিল। ফলো করতে করতে এক সময় নদীর পাশের জঙ্গল দিয়ে এগিয়ে গেল।
   এই জঙ্গলের ভেতরে একটা বাংলো মতন ঘর আছে। লোক-জন ওখানে যায় না, বলতে গেলে একেবারেই পরিত্যাক্ত। লোকটি সেই বাংলোর ভেতরে ডুকে পড়ল।আফতাবও পিছন পিছন বাংলোর একেবারে কাছে চলে আসে। ভেতরে কি হচ্ছে তা দেখার চেষ্টা করল।

   বাংলোটা ছিল টিনের তৈরি, অনেকদিনের পুরনো কিনা তাই মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পেছন দিকে ফুটো হয়ে যাওয়া ছিদ্র দিয়ে ভেতরে তাকাল সে। ভেতরে তারা কয়েকজন ছিল।
   সবাই দেখতেই যেন কেমন ভয়ানক ভয়ানক। তারা কি বিষয়ে কথা সেটা বুঝার চেষ্টা করল। হালকা অস্পষ্টভাবে যতটুকু শুনা যায়, এতে বুঝতে পারল, ব্যাপারটা অনেক জটিল। আসলে ওরা হল মাদক ব্যবসায়ী।
   মাদকদ্রব্য পাচার করাই ওদের কাজ। ওরা কথা শেষ করেই রুমের লাইট অফ করে বের হয়ে যাচ্ছিল। রবিন ভয়ে ভয়ে একটু সরে দাড়াতে গিয়ে টিনের সাথে ধাক্কা লাগল। ব্যাপারটা ওই লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
   এদিকে, অনেকক্ষণ হয়ে যায় রবিন ফেরার কোন খবর নাই। ব্যাপারটা এতক্ষন কারও খেয়াল ছিল। কিন্তু মনে হবার সাথে সাথেই হঠাৎ যেন অস্থির চিন্তা কাজ করতে শুরু করল। কখনও এরকম অস্থির চিন্তার মধ্যে পড়ে নাই। পড়াটাই স্বাভাবিক, ও যদি এত দেরিই করত তাহলে ফোন দিয়ে বলে দিত। কিন্তু, তাহলে এত দেরি করছে কেন? ওর কথা মনে হতেই সামির ওকে ফোন দিল, কিন্তু ওর ফোন বন্ধ। সবাই দ্রুত দোকানের দিকে গেল। গিয়ে দোকানদারকে জিজ্ঞাস করল,
     ‘রবিন, আসছিল আপনার এখানে?’
     ‘হ্যা, অনেকক্ষণ আগে। সিগারেট নিয়ে চলে গেছে।’
     ‘ওহ আচ্ছা, এক প্যাকেট গোল্ডলিফ দেন। সিগারেট নিয়ে আবার জানতে চাইল, কোন দিকে গেছে?’
     ‘নদীর পাড় ধরে জঙ্গলের দিকে গেছে।’
   দোকানদারের সাথে কথা শেষ করে দ্রুত জঙ্গলের দিকে হাটা দিল সবাই। এই জঙ্গলের ব্যাপারে অনেক কথা প্রচলিত আছে। জঙ্গলটি নাকি খুবই রহস্যময়, কেউ জঙ্গলে গেলে সে আর ফিরে আসে না। সবাই জঙ্গলের ভেতরে ঢুকল। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল সেই বাংলোর দিকে। দূর থেকে যা দেখল, তাতে সবার চক্ষু ছানাবড়া! কয়েকজন লোক মিলে একটি ছেলেকে বেঁধে রেখেছে। সবাই চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে ওকে। হাত দুটো পেছন থেকে বাধা।
   সেই ছেলেটি আর কেউ না, সেই রবিন। সে ধরা পড়ে গেছে ওদের হাতে। ওরা সবাই মিলে তাকে বাংলোর উত্তর দিকের একটা ঘরে নিয়ে গেল। ওদের একজন হঠাৎ করে ওদের দিকে তাকাল। সবাই ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়ল, মনে হয় দেখে নি। রবিনকে একটা ঘরে আটকে রেখে সবাই বেরিয়ে আসল। এদিকে রাতও অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে, কোন উপায় না দেখে সবাই ফিরে আসলো।
   চিন্তায় সবাই অস্থির, কি করা যায় এখনসেই ভাবনায় সবাই একেবারে বেহাল অবস্থ্যা। কিভাবে ওকে ফিরানো যায় সেই নিয়ে একের পর এক প্ল্যান করে গেল। ভেবে কেউ কোন কূল কিনারা পেরে উঠতে পারল না। সেই রাতে কেউ আর বাড়ি ফিরল না, সবাই একসাথেই কাটিয়ে দিল না ঘুমিয়েই। সারারাত ভেবে সিদ্ধান্ত নিল যে করেই হোক ওকে আনতেই হবে। সকাল হয়ে গেল, সারারাত কেউ ঘুমায়নি। সবার একটু বিশ্রাম নিতে হবে।

   তাছাড়া, দিনের বেলায় কিছু করাও সম্ভব নয়। তাই সবাই যার যার বাড়িতে গেল, একটু বিশ্রাম নিতে। বিকালে আবার সবাই একসাথে হবে রবিনকে উদ্ধার করতে যাবে। সবাইকে যার যার বাড়িতে পাঠিয়ে সামিরও নিজের বাসায় গিয়ে দ্রুত গোসল, খাওয়া-দাওয়া সেরে রেডি হয়েই আবার বেড়িয়ে পড়ল। লোক-মুখে যতদূর শোনা যায়, জঙ্গলের এই গ্যাংটা অনেক ভয়ঙ্কর। কিন্তু, রবিন ওখানে আটকের ঘটনা কাউকে বলাও যাবে না। যা করার নিজেদেরকেই করতে হবে।
   দরিয়া থানার ওসি সামিরের পরিচিত। তাই সে তার সাথে দেখা করে সবকিছু শেয়ার করল। সামিরের বর্ণনা আর ওসি সাহেবের তথ্যানুযায়ী ঘটনাটা অনেক ভয়াবহ। এই গ্যাংটা অনেকদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছে। এছাড়াও ওরা অস্ত্র পাচারও করে থাকে। ওদের ব্যাপারে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
   কিন্তু গ্রুপটা এতটাই ভয়ঙ্কর যে, পুলিশও কোন অ্যাকশান নিতে পারছে না। সামির ওদের প্ল্যান ওসি সাহেবকে জানালো। প্রথমে তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না। কিন্তু সামিরের যুক্তি আর সাহসিকতা দেখে তিনি রাজি হলেন এবং তাকে সাহায্য করতে সম্মতি জানান। তারপর ওসি সাহেবের সাথে প্ল্যান ও সময় ফাইনাল করলো। ওসি সাহেবও তাকে কিছু নির্দেশনা দিল এবং কোন রিস্ক নিতে নিষেধ করলেন। সময়মত উনাকে আপডেট জানাতে বললেন। কথা-বার্তা শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে গেল।
   বিকালে সবাই একত্র হল। কলেজ মাঠে। সবাই অপেক্ষা করছে কখন রাত হবে? রাত অন্ধকার হলেই মিশনে নামবে ওরা। যেহেতু গ্যাংটা অনেক শক্তিশালী এবং ভয়ানক সেহেতু কোন প্রকার রিস্ক নেওয়া যাবে না। তাই সতর্কতার স্বার্থে সামির সবাইকে কিছু কথা জানিয়ে রাখে।
     ‘সবার ফোন Silent রাখবে।
    সবাই ফোনে সবাই সবার সাথে Connect রাখবে।
    তবে আমরা বড় ধরণের কোন রিস্ক নিবনা। সবাই খুব সতর্ক থাকবে।’
   সন্ধ্যার পরপরই সবাই গন্তব্বের দিকে এগিয়ে যায়।অন্ধকার নেমে আসার সাথে সাথেই জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে ওরা। বাংলোর কাছে পৌছার আগেই আগে সবাই সবার সাথে ফোনে Connect করে নেয়। রাতের অন্ধকারে তেমন কিছুই দেখা যায় না। তারপরও সবাই অতি সাবধানে বাংলোর উত্তর দিক থেকে এগিয়ে আসে। উত্তরের যেই রুমে রবিনকে আটকে রেখেছে সেই ঘরের টিনের বেড়ার পিছন থেকে সামির সামনের দিকে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করল।
   বাংলোর সামনের দিকে দুজন লোক দাড়িয়ে আছে। ওদের দিকে তাকাতেই টিনের বেড়ার আড়ালে লুকিয়ে গেল। লোকটি এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে ভেতরে চলে গেল। আবার চারদিকটা এক নজর দেখেই সেই উত্তরের ঘরটির দিকে গেল ওরা। অবশ্য সবাই না, দু’জনকে পাহারায় রেখে মনিরকে নিয়ে সামির এগিয়ে গেল সেই ঘরটির দিকে যেখানে গতকাল রবিনকে। ঝোপের আড়াল হয়ে চুপি চুপি তাদের টার্গেট করা সেই ঘরটির পিছনে পৌছল। আগের মতই উঁকি দিল ভেতরে কিন্তু ভেতরটা একেবারেই নির্জন মনে হল। কোন প্রানের আভাস না পেয়ে একটু থমকেই গেল। ওরা কি তাহলে মেরে ফেলেছে রবিনকে?

সবাই ফোন কানেক্টেই ছিল,
    ‘সামির বলছি, রবিন এই রুমে নেই। আমরা পূর্ব দিকের যে ঘরটায় আলো জ্বলছে সেখানে যাচ্ছি। বাইরে থেকে তোরা নজর রাখিস। কোন রকম বিপদ দেখলেই সংকেত দিবি।’
   বলেই এগিয়ে গেল সেই ঘরের দিকে। চারপাশটা একেবারে নিশ্চুপ ছিল, পায়ের চাপে মরা পাতাগুলো মচমচে আওয়াজ হচ্ছিল। অতি সতর্কের সাথে ঘরের পিছনে টিনের ছিদ্র দিয়ে ভেতরে তাকায় সামির। একটা কুপিবাতি জ্বলছিল আর তার চারপাশে নয়-দশ জন মধ্যবয়সী লোক বসে আছে। অনেক দেশি-বিদেশি অস্ত্রও ছিল ভেতরে। কিছু ঔষুধের বাক্সের মত কার্টুন ছাড়া আর কিছুই নেই রুমের ভেতরে। কি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল টা বুঝবার কোন উপায় ছিলনা। কিন্তু রবিনকে কোথাও দেখা গেল না। এই পরিস্থিতিতে ওরা মাত্র কয়েকজন ছেলে কিছুই করতে পারবে না।
   কোন উপায় না দেখে ওসি সাহেবকে ফোন করল ওরা। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুলিশ এসে হঠাৎ আক্রমন করে সবাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ওই রুমেই রবিককে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশের সহয়তায় ওকে দ্রুত হাস্পাতালে নিয়ে যায়। কয়েকদিনের মধ্যেই ও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠে।
   ওদের এই দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড, পুলিশকে সহায়তা আর মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ওদেরকে বিশেষ পুরষ্কারও দেওয়া হয়।

Comments

Popular Posts

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ সমূহ

জায়নামাযে দাঁড়ানোর দোয়া اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ حَنِيْفًا وَّمَا اٰنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ- উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জা...

টেক্সটাইল ডাইং কেমিক্যাল গুলির নাম এবং ব্যবহার

ডাইং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন : ১. সোডা  :  কালার ফিক্সং  করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জ...

Countries in the World

This website uses cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more Got it! Countries in the World: 195 # Country Population (2020) Land Area (Km²) 1 China 1,439,323,776 9,388,211 2 India 1,380,004,385 2,973,190 3 United States 331,002,651 9,147,420 4 Indonesia 273,523,615 1,811,570 5 Pakistan 220,892,340 770,880 6 Brazil 212,559,417 8,358,140 7 Nigeria 206,139,589 910,770 8 Bangladesh 164,689,383 130,170 9 Russia 145,934,462 16,376,870 10 Mexico 128,932,753 1,943,950 11 Japan 126,476,461 364,555 12 Ethiopia ...