Skip to main content

ক্রাশ

ক্রাশ খাওয়াটা যেন আমার অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে! কোর্টে গেলে মহিলা ওকিল দেখে ক্রাশ খাই, জেলখানায় গেলে মহিলা পুলিশ দেখে ক্রাশ খাই, পার্কে গেলে অন্যের গার্লফ্রেন্ড দেখে ক্রাশ খাই, হসপিটালে গেলে সুন্দরী নার্স দেখে ক্রাশ খাই, ক্লাসে বসে মেডাম দেখে ক্রাশ খাই! যেখানে সেখানে ক্রাশ খাই! কারনে অকারনে ক্রাশ খাই! সময়ে অসময়ে ক্রাশ খাই। খাবারের তালিকায় এখন "ক্রাশ" নামটিই সবার উপরে উঠে এসেছে!
ক্লাস শেষ করে বাসায় যাচ্ছি।গাড়িতে উঠার আগে ব্রিজের নিচে বড়ই আচার খাচ্ছিলাম ।আচার খাওয়া যেন নিয়ম তান্ত্রিক রুটিন হয়ে গেছে । বড়ই আচার নিয়ে রাস্তা ক্রস করার সময় পাশ দিয়ে সিএনজি যাচ্ছিল। সিনএনজির ভিতর এক সুন্দরী রমণী দেখে যেন আবার ক্রাশ খেলাম । এত সুধু ক্রাশ নয়, কিছু সময়র জন্য সম্পূর্ণ শরীর যেন স্তব্ধ হয়ে রইল ।কি ভেবে যে হাতটা সিএনজির সামনে বাড়িয়ে দিলাম । 
একটু সামনে গিয়েই সিএনজিটা থেমে যায়। দ্রুত গতিতে হেটে সিএনজির কাছে আসলাম । কাছে যেতেই ড্রাইভার ভাই বলে -
কই যাবেন? 
ড্রাইভার কি বলে ঐটার খেয়াল নাই। আমার যে সিএনজির পিছনের ছিট থেকে চোখ সরছে না। কারণ ললনাটি যে পিছনের ছিটেই বসে আছে।
ড্রাইভার আবার জিজ্ঞেস করলো -
ভাই আপনি কি কোথাও যাবেন? 
আমি ঐ সময় কাল্পনিক দেশে ঘুরপাক খাচ্ছি। ললনার চোখ দুটিকে নিয়ে যে কত কাল্পনিক রাজ্য ঘুরতেছি নিজেরও অজানা। আস্তে আস্তে সিএনজিতে উঠে বসলাম। উঠে এক কোনায় চড়ই পাখির মত বসে থাকলাম।কারণ, ললনা একদিক ফাকা রেখে মাঝামাঝি অবস্থায় এমন ভাবে বসল যে আমার ভালো করে বসার উপায় ছিল না।
একটু পরেই ললনা টিপটিপ করে মুচকি মুচকি হাসছে।
মুচকি হাসির কারনটাও আমার অজানা নয়। চড়ই পাখির বসা দেখেই যে মেয়েটা বার বার মুচকি হাসছে, তা তার আড়চোখে তাকানো দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
কাল্পনিক দেশের রাজপুত্র হিসেবে যখন চিন্তা করতে থাকলাম," ললনা যদি প্রিয়া প্রকাশ এর মত চোখ মারে, তখন আমার কি কি এট্রাক হতে পারে?""
ডান দিক থেকে কিছু একটা শব্দ পেলাম। প্রথম বার বুঝতে না পারলেও দ্বিতীয় বার ঠিকই বুঝতে পারলাম!
ললনা মুচকি হেসে বলছে-
এক্সকিউজ মি!....
.
এক্সকিউজ মি!
,
,
এই এ ক্স কি উ জ মি শুনেত আমার হার্ড এট্রাকের পরিণতি। যখন এই করুণ পরিস্থিতি , তখনি বামে মাথা ঘুরিয়ে দেখি পার্কভিউ হসপিটাল। পাশেই হসপিটাল বলে হয়ত আর হার্ডএট্রাকটি হয়নি।
"অন্ধকার ঘরে ভিডিও ক্লিপ চলার মধ্যে হটাৎ অডিও যুক্ত হলে যা হয় আরকি।" 
এত মধুর কন্ঠ যা যেকোন ছেলে শুনলে পাগল হয়ে যাবে।মনে হচ্ছিল কথার মধ্যে নেহা আপুর রিমিক্স ব্যাবহার করছিল।
ললনার কন্ঠে তৃতীয় বাড়ের মত এক্সকিউজ মি শুনে জ্ঞান ফিরে আসল।

আমি কনো কিছু না বুঝে ভেবাচেকা খেয়ে হ্যা বলতেই ললনা মুচকি হেসে বলে উঠল -"
এই ভাবে কি দেখছেন? আপনি আরাম করে বসতে পারেন।
পশ্রয় পেয়ে আমি বলে উঠলাম-
" আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে।"
"থেংক্স আপনাকেও!"-বালিকার রিপ্লাই।
গাড়িতে অনেক কথা হল। 
সব কিছু অনুকূলে দেখে বালিকার নাম্বার চাবো বলে স্থির হলাম।
হঠাত ললনার ফোনটি বেজে উঠলো। ললনা রিসিভ করে বলতে লাগল-
" বাবু তুমি কই? এইতো সোনা চলে আসছি। তুমি খেয়ে রেস্ট নাও জান। আচ্ছা ঠিক আছে বাবু। 
শুন শুন জান, জানো! আজকেও না আরেকটাকে মুরগ বানাইলাম। হি হি হি। আচ্ছা রাখি জান,উম্মম্মাহ!"
সাথে সাথে আমি চিন্তা করতে লাগলাম, " এখন যদি স্টোক করি তাইলে কি আর বাচার সম্ভাবনা আছে ? হসপিটাল থেকেতো অনেক দূরে চলে আসছি!"।
সাথে সাথে আমার ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো ---
"ভালোবাসা গাড়িতে না বাড়িতে ভাই!"

Comments

Popular Posts

টেক্সটাইল ডাইং কেমিক্যাল গুলির নাম এবং ব্যবহার

ডাইং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন : ১. সোডা  :  কালার ফিক্সং  করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জ...

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ সমূহ

জায়নামাযে দাঁড়ানোর দোয়া اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ حَنِيْفًا وَّمَا اٰنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ- উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জা...

হুমায়ুন আহমেদ - এর উক্তি সমূহ

১. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে ভালবাসা। ২. ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটোই মানুষের চোখে লিখা থাকে। ৩. একজন সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে দেখা ও তাকে অসুন্দর হিসেবে আবিষ্কার করার মধ্যবর্তী স...