Skip to main content

Garments Dyeing, Washing and Finishing


প্রশ্ন – ১. গার্মেন্টস ডাইং কেন করা হয়? উত্তরঃ তৈরিকৃত পোশাকের কাপড় উজ্জ্বল করা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য। প্রশ্ন – ২. কটন পোশাকের জন্য কোন ডাই ব্যবহার করা হয়? উত্তরঃ ডাইরেক্ট ডাই। প্রশ্ন – ৩. পলিয়েস্টার পোশাকের জন্য কোন ডাই ব্যবহার করা হয়? উত্তরঃ ডিসপার্স ডাই। প্রশ্ন – ৪. সিল্ক কাপড়ের ক্ষেত্রে কোন ডাইন ব্যবহার করা হয়? উত্তরঃ রিয়্যাকটিভ ডাই। প্রশ্ন – ৫. কয়েকটি গার্মেন্টস ডাইং মেশিনের নাম লিখ। উত্তরঃ জিগার ডাইং মেশিন, উইঞ্চ ডাইং মেশিন, জেট ডাইং মেশিন ইত্যাদি। প্রশ্ন – ৬. পলিয়েস্টার কাপড় ডাইং তাপমাত্রা কত? উত্তরঃ ১৩০º সেলসিয়াস। প্রশ্ন – ৭. গার্মেন্টস ওয়াশিং বলতে কি বুঝ? উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ পোশাককে ধৌত করে এর মধ্যস্থ ময়লা, অপদ্রব্যসমূহ দূর করে পোশাককে পরিষ্কার করা হয়, তাকে গার্মেন্টস ওয়াশিং বলে। প্রশ্ন – ৮. গার্মেন্টস ওয়াশিং প্রধানত কত প্রকার? উত্তরঃ দুই প্রকার। যথাঃ ক. ড্রাইং ওয়াশিং, খ. ওয়াটার ওয়াশিং। প্রশ্ন – ৯. গার্মেন্টস ওয়াশিং এর পদ্ধতি কয়টি? উত্তরঃ প্রধানত দুইটি। যথাঃ ক. স্টোন ওয়াশিং, খ. কেমিক্যাল ওয়াশিং। প্রশ্ন – ১০. ব্লিচিং ওয়াশিন কত তাপমাত্রায় সম্পন্ন হয়? উত্তরঃ ৯০º সেলসিয়াস। প্রশ্ন – ১১. পিগমেন্ট ওয়াশিং কত তাপমাত্রায় করা হয়? উত্তরঃ ৬০º সেলসিয়াস। প্রশ্ন – ১২. স্টাইল অব ওয়াশিং কি? উত্তরঃ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দ্বারা কিছু শর্ত সাপেক্ষে বিভিন্ন আঁশ দ্বারা তৈরি পোশাককে যে কৌশলে ওয়াশিং করা হয়, তাকে স্টাইল অব ওয়াশিং বলে। প্রশ্ন – ১৩. গার্মেন্টস ওয়াশিং এ ব্যবহৃত ম্যাটেরিয়াল ও লিকারের অনুপাত কত? উত্তরঃ ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে ওয়াশিং করলে ১ঃ ৫ বা ৫ঃ ৮ এবং ওয়াশিং মেশিন ছাড়া ওয়াশিং করলে ১ঃ ১০ বা ১ঃ ১২ । প্রশ্ন – ১৪. স্টোন ওয়াশিং এর সংজ্ঞা দাও। উত্তরঃ পোশাক বা কাপড় ওয়াশিং এর যে প্রক্রিয়ায় পাথর বা স্টোন ব্যবহার করা হয়, তাকে স্টোন ওয়াশিং বলে। প্রশ্ন – ১৫. কোন প্রকৃতির পোশাককে স্টোন ওয়াশ করা হয়? উত্তরঃ প্রধানত জিন্স ও ডেনিম এর শার্ট ইত্যাদি। প্রশ্ন – ১৬. মাংকি ওয়াশ কি? উত্তপ্রঃ পটাশিয়াম পার কার্বনেট দ্রবণে কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশ ডুবিয়ে যে ওয়াশ করা হয়, তাকে মাংকি ওয়াশ বলে। প্রশ্ন – ১৭. ড্রাই ওয়াশ কি? উত্তরঃ পোশাককে কোন প্রকার পানিতে না ভিজিয়ে ময়লা অপসারণ করে শুষ্ক পদ্ধতিতে বিভিন্ন কেমিক্যাল দ্বারা পোশাক পরিষ্কার করা হয়, তাকে ড্রাই ওয়াশ বলে। প্রশ্ন – ১৮. ড্রাই ওয়াশের তাপমাত্রা কত? উত্তরঃ ১১০º সেলসিয়াস। প্রশ্ন – ১৯. ব্লিচিং ওয়াশিং এর প্রধান রাসায়নিক পদার্থ কি? উত্তরঃ কস্টিক সোডা। প্রশ্ন – ২০. কেমিক্যাল ওয়াশিং এর সংজ্ঞা দাও। উত্তরঃ যে ওয়াশিং প্রক্রিয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ পোশাককে কেমিক্যাল ব্যবহার করে এর মধ্যস্থ ময়লা, অপদ্রব্য দূর করে পরিষ্কার করা হয়, তাকে কেমিক্যাল ওয়াশিং বলে। প্রশ্ন – ২১. পোশাক ফিনিশিং কি? উত্তরঃ পোশাক প্রস্তুতের পর তা ক্রেতার নিকট আকর্ষনীয় করার পোশাককে বিভিন্ন যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে বা প্রেসিং, ফোল্ডিং ও প্যাকিং করা হয়, তাকে পোশাক ফিনিশিং বলে। প্রশ্ন – ২২. ফোল্ডিং কি? উত্তরঃ প্রেসিং করার পর নির্দিষ্ট আয়তনে পোশাক ভাঁজ করে রাখাকে ফোল্ডিং বলে। প্রশ্ন – ২৩. প্রেসিং এর অপর নাম কি? উত্তরঃ আয়রনিং। প্রশ্ন – ২৪. ফোল্ডিং কত প্রকার ও কি কি? উত্তরঃ তিন প্রকার। যথাঃ ক. শার্টের ফোল্ডিং, খ. প্যান্টের ফোল্ডিং, গ. জ্যাকেটের ফোল্ডিং। প্রশ্ন – ২৫. শার্টের ফোল্ডিংগুলোর নাম লিখ। উত্তরঃ ক. স্ট্যান্ড আপ, খ. সেমি স্ট্যান্ড আপ, গ. ফ্ল্যাট প্যাক ও ঘ.হ্যাঙ্গার প্যাক ফোল্ডিং। প্রশ্ন – ২৬. প্রেসিং বা আয়রনিং কাকে বলে? উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার দ্বারা পোশাকের মধ্যস্থ অনাকাঙ্ক্ষিত ভাঁজ বা কোঁকড়ানো অবস্থাকে দূর করে পোশাকের মসৃণতা, চাকচিক্যতা, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয় তাকে প্রেসিং বলে। প্রশ্ন – ২৭. প্যাকিং কাকে বলে? উত্তরঃ ফোল্ডিং করার পর পোশাককে ধুলাবালি ও অন্যান্য ময়লার হাত থেকে রক্ষার জন্য ও বাজার উপযোগী করার জন্য যে পলি ব্যাগে সংরক্ষণ করা হয়, তাকে প্যাকিং বলে। প্রশ্ন – ২৮. অ্যাসর্টমেন্ট বলতে কি বুঝ? উত্তরঃ অ্যাসর্টমেন্ট বলতে সংগ্রহকরণ বা কোন কোন ক্ষেত্রে শ্রেনিবিন্যস্তকরণকেই বুঝায়। প্রশ্ন – ২৯. ডি-লাসচারিং অর্থ কি? উত্তরঃ রঙের উজ্জ্বলতা কমিয়ে বিশেষ বৈচিত্র আনয়ন করা। প্রশ্ন – ৩০. ব্রাইটেনিং ফিনিশিং কি? উত্তরঃ টেক্সটাইল দ্রব্য বা কাপড়ে অতিমাত্রায় শুভ্রতা আনয়নের জন্য যে কেমিক্যাল ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের ফিনিশিং করা হয়, তাকে ব্রাইটেনিং ফিনিশিং বলে। প্রশ্ন – ৩১. ব্রাইটেনিং প্রণালি কত তাপমাত্রায় করা হয়? উত্তরঃ ৪০º থেকে ৬০º সেলসিয়াস। প্রশ্ন – ৩২. স্টিম কি? উত্তরঃ কোন পাত্রে পানি রেখে তাতে উচ্চ তাপে পানি ফুটিয়ে যে বাষ্প তৈরি করা হয়, তাকে স্টিম বলে। প্রশ্ন – ৩৩. পোশাকশিল্পে কেন স্টিম ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ পোশাক অতি সহজে শুকানোর জন্য, রং স্থায়ী করার জন্য এবং আয়রনিং এর জন্য। প্রশ্ন – ৩৪. পোশাকশিল্পে কাপড় শুকানোর জন্য কি ব্যবহার করা হয়? উত্তরঃ ড্রাইং মেশিন ব্যবহার করা হয়। প্রশ্ন – ৩৫. গার্মেন্টস শিল্পে কোন ধরনের আয়রন বেশি ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ স্টিম আয়রন।

Comments

Popular Posts

টেক্সটাইল ডাইং কেমিক্যাল গুলির নাম এবং ব্যবহার

ডাইং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন : ১. সোডা  :  কালার ফিক্সং  করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জন্য  ব্যবহার করা  হয়। ২. পার-অক্সাইড : ফেব্রিকের মধ্যে থাকা ন্যাচারাল গ্রে কালার রিমুভ করতে ব্যবহার করা হয়। ৩. স্টেবিলাইজার : পার-অক্সাডের রিয়েকশন স্টেবল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যাবহার না করললে পার-অক্সাইড খুব দ্রুত ভেঙে পার-হাইড্রোক্সিল আয়ন গুলি শেষ করে ফেলবে, যা ব্লিচিং এর জন্য দায়ী। ৪. ডিটারজেন্ট :  ওয়েটিং অথবা ক্লিনিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ৫. এন্টিক্রিজিং এজেন্ট:  নিটিং এর পর ও ওয়েট প্রসেসিং এর সময়  ফেব্রিকে ভাজ অথবা ক্রিজ পরে ফলে সেড আন-ইভেন আসতে পারে। ডাইং এর সময় তাই তা দূর করতে এক ধরনের ক্রিজ রিমুভার ব্যবহার করা হয় যেন ক্রিজ না পরে। এটি লুব্রিকেশন টাইপ এর কেমিক্যাল। ৬. সিকুস্টারিং এজেন্ট: পানির মধ্যে থাকা মেটাল আয়ন, হার্ডনেস রিমুভ করতে  ও পানিকে সফট করতে ব্যবহার করা হয়। ৭. ওয়েটিং এজেন্ট :  সারফেস টেনশন দূর করে ফেব্রিকের ভিজানোর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ওয়েটিং প্রপার

উপন্যাসের গঠন কৌশল

বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক E.M. Forster- এর মতে, কমপক্ষে ৫০ হাজার শব্দ দিয়ে উপন্যাস রচিত হওয়া উচিত। উপন্যাস সাহিত্যের এমন একটি মাধ্যম যেখানে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার অবকাশ থাকে। এখানে লেখক প্রাণখুলে তাঁর মতামত লিপিবদ্ধ করতে পারেন বা একেকটি চরিত্রকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন সকল ধরনের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। উপন্যাসকে এক সুবিশাল ক্যানভাস হিসেবে ধরা যায়, লেখক তাঁর পরিকল্পনা মাফিক একেকটি অধ্যায়কে জায়গা করে দেন সেখানে। স্থান-কালের যথার্থ উল্লেখ, বাস্তবতার প্রতি তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখা, মানুষের হৃদয়ের গভীর তলদেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা—ইত্যাদি দরকার একটি সার্থক উপন্যাসের জন্য। উপন্যাস বিশ্লেষকগণ একটি সার্থক উপন্যাসের গঠন কৌশল নিয়ে ছয়টি রীতির কথা বলেছেন। প্লট বা আখ্যান সম্পাদনাঃ উপন্যাসের ভিত্তি একটি দীর্ঘ কাহিনি। যেখানে মানব-মানবীর তথা ব্যক্তির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, ঘৃণা-ভালোবাসা ইত্যাদি ঘটনা প্রাধান্য লাভ করে। উপন্যাসের প্লট বা আখ্যান হয় সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত। প্লটের মধ্যে ঘটনা ও চরিত্রের ক্রিয়াকাণ্ডকে এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয় যাতে তা বাস্তব জীবনকে প্র

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ সমূহ

জায়নামাযে দাঁড়ানোর দোয়া اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ حَنِيْفًا وَّمَا اٰنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ- উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজ্হিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ছানা سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلَا اِلٰهَ غَيْرُكَ- উচ্চারণ- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বি-হামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। রুকূর তাসবীহ سُبْحَانَ رَبِّىَ الْعَظِيْمِ উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম। অর্থাৎ- আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করতছি। তাসমীহ سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَهْ উচ্চারণ- সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ। অর্থাৎ- যে তাহার (আল্লাহর) প্রশংসা করে, আল্লাহ তাহা শুনেন। তাহমীদ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ উচ্চারণ- রাব্বানা লাকাল হামদ। অর্থাৎ- হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি প্রশংসিত। সিজদার তাসবীহ سُبْحَانَ رَبِّىَ الْاَعْلٰى উচ্চারণ- সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা। অর্থাৎ- আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করতেছি। আত্তাহিয়্যাতু اَلتَّحِيّ