প্রশ্ন – ১. বস্ত্র
প্রক্রিয়াকরণের ধাপগুলো কি কি?
উত্তরঃ ক. স্পিনিং, খ. উইভিং,
গ. ডাইং এবং প্রিন্টিং, ঘ. ক্লদিং বা গার্মেন্টস।
প্রশ্ন – ২. বস্ত্র তৈরির
পদ্ধতিগুলো কি কি?
উত্তরঃ ক. উইভিং, খ. নিটিং,
গ. ফেল্টিং।
প্রশ্ন – ৩. টেক্সটাইল ফাইবার
কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল ফাইবার বা আঁশে
সুতা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলি বিদ্যমান থাকে, সে সকল ফাইবারকেই টেক্সটাইল
ফাইবার বলে।
প্রশ্ন – ৪. টেক্সটাইল ফাইবারের
প্রধান উৎসগুলো কি কি?
উত্তরঃ ক. প্রাকৃতিক উৎস, খ.
কৃত্রিম উৎস।
প্রশ্ন – ৫. তাঁত কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে
দুই সারি সুতাকে লম্বালম্বি ও আড়াআড়িভাবে স্থাপন করে বুনন কার্য সম্পন্ন করা হয়,
তাকে তাঁত বলে।
প্রশ্ন – ৬. মিক্সিং কি?
উত্তরঃ একই জাতের বিভিন্ন
মানের অর্থাৎ গড় ভৌত গুণাবলি সম্পন্ন আঁশের মিশ্রণকে মিক্সিং বলে।
প্রশ্ন – ৭. ব্লেন্ডিং কি?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট অনুপাতে
ভিন্ন ভিন্ন প্রকার আঁশের মিশ্রণ করাই হচ্ছে ব্লেন্ডিং।
প্রশ্ন – ৮. ইমালশন দ্রবণে কি কি
ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ তেল, পানি ও ইমালফিফায়ার।
প্রশ্ন – ৯. ব্লো-রুমে কয় ধরনের
মেশিন ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ তিন ধরনের।
প্রশ্ন – ১০. কার্ডিং মেশিনের
সিলিন্ডারের গতি কত?
উত্তরঃ ১৬০০ আর.পি.এম।
প্রশ্ন – ১১. সাইজিং কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় উইভিং
এর পূর্বে টানা সুতায় আঠাজাতীয় পদার্থ প্রয়োগ করে সুতার বিভিন্ন গুণাবলি অর্জন করা
হয়, তাকে সাইজিং বলে।
প্রশ্ন – ১২. সাইজিং কে মোট
কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তরঃ চারভাগে ভাগ করা
হয়েছে।
প্রশ্ন – ১৩. ড্রাফটিং কাকে বলে?
উত্তরঃ বীম করা সমাপ্ত হলে
শানা হতে টানা সুতার মাথা টেনে বের করে একটি একটি করে বীমের সুতা ডিজাইন অনুযায়ী “ব” চক্ষুর ভিতর দিয়ে
ড্রয়িং হুকের সাহায্যে টানার প্রক্রিয়াকে ড্রাফটিং বলে।
প্রশ্ন – ১৪. ডেন্টিং কাকে বলে?
উত্তরঃ শানার প্রতিটি ডেন্ট
এর মধ্য দিয়ে টানা সুতাকে ডিজাইন অনুযায়ী ড্রয়িং হুকের সাহায্যে টেনে নেয়ার
প্রক্রিয়াকে ডেন্টিং বলে।
প্রশ্ন – ১৫. ড্রাফটিং কেন করা
হয়?
উত্তরঃ টানা সুতাকে দুভাগে
বিভক্ত করে শেড গঠন করার সুবিধার্থে ড্রাফটিং করা হয়।
প্রশ্ন – ১৬. ডেন্টিং কেন করা
হয়?
উত্তরঃ পিকিং এর পর পড়েন
সুতাকে কাপড়ের শেষ পিকিংকৃত সুতার সাথে মিলিয়ে দেয়ার জন্য।
প্রশ্ন – ১৭. ফেল অব দি ক্লথ
কাকে বলে?
উত্তরঃ কাপড়ের শেষ পিকিংকৃত
সুতাকে ফেল অব দি ক্লথ বলে।
প্রশ্ন – ১৮. নিটিং কয় প্রকার ও
কি কি?
উত্তরঃ নিটিং দুই প্রকার।
যথাঃ ক. ওয়ার্প নিটিং, খ. ওয়েফট নিটিং।
প্রশ্ন – ১৯. নিটিং কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় বিশেষ
ধরনের নিডেলের সাহায্যে লুপ তৈরি করে সেই লুপগুলোকে বিশেষ নিয়েমে পরস্পরের সাথে
লম্বালম্বি বা সমান্তরাল্ভাবে সংযোজিত করে কাপড় তৈরি করা হয়, তাকে নিটিং বলে?
প্রশ্ন – ২০. কোন সিনজিং মেশিন
বেশি সুবিধাজনক?
উত্তরঃ গ্যাস সিনজিং মেশিন।
প্রশ্ন – ২১. গ্যাস সিনজিং
মেশিনের উৎপাদন/মিনিট কত?
উত্তরঃ ২০৫ – ৪০০ গজ/মিনিট।
প্রশ্ন – ২২. এনজাইম কি?
উত্তরঃ এনজাইম এক ধরনের জৈব
প্রভাবক।
প্রশ্ন – ২৩. সিনজিং কত প্রকার ও
কি কি?
উত্তরঃ সিনজিং তিন প্রকার।
যথাঃ ক. গ্যাস সিনজিং, খ. প্লেট সিনজিং, গ. রোটারি সিনজিং।
প্রশ্ন – ২৪. স্কাওয়ারিং কাকে
বলে?
উত্তরঃ যে আর্দ প্রক্রিয়ার
মাধ্যমে ক্ষারীয় পদার্থ (অ্যালকালি) বা ডিটারজেন্ট যোগে টেক্সটাইল দ্রব্যাদি হতে
তেল, চর্বি, মোম এবং অন্যান্য অপদ্রব্য দূর করা হয়, তাকে স্কাওয়ারিং বলে।
প্রশ্ন – ২৫. ডাই স্টাফ কি?
উত্তরঃ যে পদার্থ দ্বারা রং
ফুটিয়ে তোলা হয়, তাকে ডাই স্টাফ বলে।
প্রশ্ন – ২৬. প্রি-ট্রিটমেন্ট
কি?
উত্তরঃ কাপড়কে ডাইং বা
প্রিন্টিং করার উপযোগী করার জন্য যে সকল প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়, তাকে,
প্রি-ট্রিটমেন্ট বলে।
প্রশ্ন – ২৭. ডাইং কাকে বলে?
উত্তরঃ ফাইবার, সুতা বা
কাপড়ের সর্বত্র সমভাবে পেনিট্রেশনের মাধ্যমে রং ফুটিয়ে তোলার প্রক্রিয়াকে ডাইং
বলে।
প্রশ্ন – ২৮. প্রিন্টিং কাকে
বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় কাপড়ের
কোন নির্দিষ্ট স্থানে ডাই স্টাফ বা কেমিক্যাল দ্বারা কোন নির্দিষ্ট ডিজাইন অনুযায়ী
রং ফুটিয়ে তোলা হয়, তাকে প্রিন্টিং বলে।
প্রশ্ন – ২৯. ব্লক প্রিন্টিং কত
প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ব্লক প্রিন্টিং দুই
প্রকার। যথাঃ ক. হ্যান্ড ব্লক প্রিন্টিং, খ. মেশিন ব্লক প্রিন্টিং।
প্রশ্ন – ৩০. টেক্সটাইল ডিজাইন
কাকে বলে?
উত্তরঃ টেক্সটাইল সংক্রান্ত
কাপড়ের বুনন কাগজে প্রতিফলিত করাকে টেক্সটাইল ডিজাইন বলে।
প্রশ্ন – ৩১. টেক্সটাইল ডিজাইন
কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ টেক্সটাইল ডিজাইন দুই
প্রকার। যথাঃ ক. স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, খ. ডেকোরেটিভ ডিজাইন।
প্রশ্ন – ৩২. গার্মেন্টস ডিজাইন
কি?
উত্তরঃ পোশাক তৈরির পূর্বে
তার নকশা এঁকে নেয়াকে গার্মেন্টস ডিজাইন বলে।
প্রশ্ন – ৩৩. কাপড়ের লে কি?
উত্তরঃ কাটিং এর উদ্দেশ্যে
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে স্তর আকারে কাপড় বিছানোর পর কাপড়ের স্তরের যে আকৃতি ধারন করে,
তাকে লে বলে।
প্রশ্ন – ৩৪. গঠনের উপর ভিত্তি
করে কাপড়ের লে কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ দুই প্রকার। যথাঃ ক.
সোজা লে, খ. ধাপবিশষ্ট লে।
প্রশ্ন – ৩৫. স্প্লাইস কত প্রকার
ও কি কি?
উত্তরঃ দুই প্রকার। যথাঃ ক.
সরলরেখা স্প্লাইস, খ. ইন্টারলক স্প্লাইস।
প্রশ্ন – ৩৬. ফোল্ডিং কাকে বলে?
উত্তরঃ পোশাক প্রেসিং করার পর
নির্দিষ্ট আয়তনে ভাঁজ করাকে ফোল্ডিং বলে।
প্রশ্ন – ৩৭. শার্টের ফোল্ডিং কয়
প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ চার প্রকার। যথাঃ ক.
স্ট্যান্ড আপ, খ. সেমি-স্ট্যান্ড আপ, গ. ফ্লাট প্যাক ও ঘ. হ্যাঙ্গার প্যাক।
প্রশ্ন – ৩৮. প্রেসিং এর মুল
উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ পোশাকের সৌন্দর্য
বৃদ্ধি করা।
প্রশ্ন – ৩৯. আন্ডার প্রেসিং
কাকে বলে?
উত্তরঃ পোশাক সেলাই করার
পূর্বে সেলাইয়ের সুবিধার্থে যে প্রেসিং করা হয়, তাকে আন্ডার প্রেসিং বলে।
প্রশ্ন – ৪০. পাফার বা ডলি
প্রেসিং কাকে বলে?
উত্তরঃ স্টিম এয়ার ফিনিশ
গার্মেন্টস প্রেসিং মেশিন পাফার বা ডলি প্রেসিং নামে পরিচিত।
প্রশ্ন – ৪১. গার্মেন্টস ফিনিশিং
কাকে বলে?
উত্তরঃ গার্মেন্টস বা পোশাক
উৎপন্ন করার পর ইহার সৌন্দর্য যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির
জন্য ইহা প্রেসিং, ফোল্ডিং ও প্যাকিং করাকেই গার্মেন্টস ফিনিশিং বলে।
Comments
Post a Comment