গাঁজা নামটি শুনলে বাংলাদেশে চোখ-মুখ বাঁকা করার যে প্রবণতা, তা শুরু হয়েছে ১৯৯০-এর দশকে। বলা হয়, ১৯৮৭ সালে পশ্চিমা একটি সিগারেট কোম্পানির বাজার ধরার পথ সহজতর করতে গাঁজাকে অবৈধ করে আইন পাস করা হয় এবং কৌশলে এর বিরুদ্ধে সোস্যালি লিগ্যাল নারকোটিকস কোম্পানিটি প্রপাগান্ডা চালাতে থাকে। মাত্র বছর দশেকের মধ্যে গাঁজার সোস্যাল ক্রিমিনালাইজেশন সফলতা পায়। ১০ হাজার বছর আগে গাঁজার বীজ খাওয়ার মধ্য দিয়ে গাঁজা গৃহস্থ শস্য হয়ে ওঠে। তবে এর আদি নিবাস কোনটি, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কেউ বলছেন চীন আবার কেউ বলছেন মেসোপটেমিয়া। চীনারা গাঁজা গাছ থেকে কাগজ উৎপাদন শুরু করে, সুতাও। একই সঙ্গে ওষুধের কাজও করে। নিউরোলজিক্যাল সমস্যার জন্য মিসরীয় ও চীনারা গাঁজার ব্যবহার শেখে তিন হাজার বছর আগে। বঙ্গের মুনি-ঋষিরা বলে থাকেন, এটি ৬৫ ধরনের রোগের ওষুধ। গাঁজার ইংরেজি নাম ব্যবহার উপযোগিতার ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cannabis, যা প্রধানত দুই প্রকার Cannabis Indica ও Cannabis Sativa. সাধারণ গৃহস্থালি বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কিংবা গবেষণায় যখন ব্যবহার হয়, তখন নাম cannabis, টেক্সটাইলের ক্ষেত্রে একে বলা হয় Hemp. মাদকদ্রব্য আকারে ব্...